আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
"(কিয়ামতের) নিকটবর্তী যুগে মুমিনের স্বপ্ন মিথ্যা হবে না। আর মুমিনের স্বপ্ন নবুঅতের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ। (অর্থাৎ মুমিন স্বপ্ন যোগে ভবিষ্যতের খবর জানতে পারে। যেমন, অহীর দ্বারা নবীদেরকে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অবহিত করা হত।)"
অন্য এক বর্ণনায় আছে, "আর তোমাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি সত্য কথা বলে, তার স্বপ্ন সবচেয়ে বেশি সত্য"।
[বুখারি ৭০১৭, ৬৯৮৮, মুসলিম ২২৬৩, তিরমিযি ২২৭০,২২৯১, মায ২৮৯৪, ৩৯১৭, আহমদ ৭১২৮, ৭১৪৩, ৭৫৮৬, ৮৩০১, ৮৬০১, ১০২১২, ২৭২১৩, ২৭৩১৩, ২৭৩৭৮, মুওয়াত্তা মালিক ১৭৮১]
গত ১ লা জুম্মাতুল উখড়া ১৪৩৫ হিজরি (৩ রা এপ্রিল ২০১৪) তে দেখা আমাদের এক দ্বীনী ভাই রাসুল সাঃ কে স্বপ্ন দেখেন। আর মে ২০১৪ তে আমার নিকট বর্ণনা করেন।
“এই ভাই স্বপ্নে দেখেন যে, উনি সৌদি আরবে চাকুরি পেয়েছেন। উনি জেদ্দা বিমানবন্দরে নামার পর চিন্তা করেন যে, আল্লাহর ঘর তাওয়াফ না করে আর রাসুল (সাঃ) এর কবর জিয়ারত না করে উনি কিভাবে নতুন চাকুরীতে যোগ দিবেন। তাই তিনি মক্কা গিয়ে প্রথমে উমরাহ্ পালন করলেন। অতঃপর তিনি মদিনাতে রাসুল সাঃ এর কবর জিয়ারতে গেলেন।
রাসুল সাঃ এর কবরের নিকট গিয়ে যখন তিনি যখন তিনি সালাম দিলেন, তখন তিনি দেখেন, রাসুল সাঃ রওজা থেকে বের হয়ে আসলেন এবং তাকে কাছে ডাকলেন। অতঃপর রাসুল সাঃ তাকে বললেন, আমেরিকার ধ্বংস অতি নিকটে। আর এই ভূমি (সৌদি আরব) থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত সকল ভূখণ্ড যুদ্ধের ময়দানে পরিণত হবে। তখন এই ভাই বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমার জন্য আল্লাহর নিকট মাগফিরাতের দোয়া করেন। তখন রাসুল সাঃ বলেন, তুমি প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে মেসওয়াকের পাবন্দি করবে”।
বিঃদ্রঃ সৌদি আরব থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত ভূখণ্ডসমূহ হল সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান।
আমরা দেখেছি ২০১৪ সালের জুন মাসে ইসলামিক স্টেটের মসুল দখলের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের মিডিয়াতে ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধ সবার সামনে চলে আসে। আগস্ট ২০১৪ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ৬০ টি দেশের সম্মিলিত বিমান হামলা এখনও চলছে যার দৈনিক খরচ ৩.৫ মিলিয়ন ইউ এস ডলার। (যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ওয়েব সাইটের তথ্য অনুযায়ী)।
আর এই বছর মার্চের ২৬ থেকে সৌদি আরব তার আরব জোট ( সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত) নিয়ে বিমান হামলা শুরু করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে।
গত ০৬ এপ্রিল,২০১৫ ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিমান, রণতরী ও স্থলসেনার সাহায্য চায় সৌদি আরব।
সোমবার (গত ০৬ এপ্রিল,২০১৫) সৌদির সাহায্য চাওয়ার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
এদিন সৌদি নেতৃত্বাধীন যুদ্ধে পাকিস্তান অংশ নেবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক হয় সংসদে। বিতর্ক চলাকালেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী সৌদি আরবের সাহায্য চাওয়ার কথা জানান।
ইয়েমেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার করতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বুধবার (গত ০৮ এপ্রিল,২০১৫) পাকিস্তান সফর করেন।
শিয়া গোষ্ঠী হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে চালানো সৌদি আরবের হামলার কঠোর সমালোচনা করেছে ইরান।
আসিফ বলেন, ‘সৌদি আরব আমাদের কাছে যুদ্ধবিমান, রণতরী ও স্থলসেনার সাহায্য চেয়েছে।’
রিয়াদের সাথে ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও ইয়েমেন যুদ্ধে এখনো সরাসরি জড়ায়নি পাকিস্তান। সৌদি নেতৃত্বাধীন এই যুদ্ধে তারা অংশ নেবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা করছেন দেশটির নীতি নির্ধারকরা।
এদিকে ইয়েমেন উপকূলে এডেন উপসাগরে বুধবার (গত ০৮ এপ্রিল,২০১৫) দুটি রণতরী পাঠিয়েছে ইরান। এর মাধ্যমে ইয়েমেনের উপকূলে সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করলো তেহরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
ইরান সমর্থিত শিয়া হুথি বিদ্রোহীদের দমনে ২৬ মার্চ থেকে এডেনে বিমান হামলায় চালাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুন্নী শাসিত সৌদি আরব।
ইরানের রিয়ার অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সায়ারিকে উদ্ধৃত করে প্রেস টিভি জানায়, জলদস্যুদের হাত থেকে ইরানি জাহাজ রক্ষায় আলবোরজ ডেস্ট্রয়ার এবং এর সহযোগী বুশেহর ইরানের বন্দর আব্বাস থেকে ছেড়ে গেছে।
সায়ারি জানান, ইরানি রণতরী এডেন উপসাগরে, ইয়েমেনের দক্ষিণে এবং লোহিত সাগরে পাহারা দেবে।
এই এলাকা বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ চলাচলকারী রুট এবং ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের প্রবেশদ্বার।
অথচ এই মুহূর্তে হুথি বিদ্রোহীদের হটাতে ইয়েমেনের আকাশ ও নৌ অবরোধ আরোপ করেছে সৌদি আরব এবং তার আরব মিত্ররা।
হুথি বিদ্রোহীদের সহায়তার জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করেছে রিয়াদ যা তেহরান অস্বীকার করে আসছে।
"(কিয়ামতের) নিকটবর্তী যুগে মুমিনের স্বপ্ন মিথ্যা হবে না। আর মুমিনের স্বপ্ন নবুঅতের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ। (অর্থাৎ মুমিন স্বপ্ন যোগে ভবিষ্যতের খবর জানতে পারে। যেমন, অহীর দ্বারা নবীদেরকে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অবহিত করা হত।)"
অন্য এক বর্ণনায় আছে, "আর তোমাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি সত্য কথা বলে, তার স্বপ্ন সবচেয়ে বেশি সত্য"।
[বুখারি ৭০১৭, ৬৯৮৮, মুসলিম ২২৬৩, তিরমিযি ২২৭০,২২৯১, মায ২৮৯৪, ৩৯১৭, আহমদ ৭১২৮, ৭১৪৩, ৭৫৮৬, ৮৩০১, ৮৬০১, ১০২১২, ২৭২১৩, ২৭৩১৩, ২৭৩৭৮, মুওয়াত্তা মালিক ১৭৮১]
গত ১ লা জুম্মাতুল উখড়া ১৪৩৫ হিজরি (৩ রা এপ্রিল ২০১৪) তে দেখা আমাদের এক দ্বীনী ভাই রাসুল সাঃ কে স্বপ্ন দেখেন। আর মে ২০১৪ তে আমার নিকট বর্ণনা করেন।
“এই ভাই স্বপ্নে দেখেন যে, উনি সৌদি আরবে চাকুরি পেয়েছেন। উনি জেদ্দা বিমানবন্দরে নামার পর চিন্তা করেন যে, আল্লাহর ঘর তাওয়াফ না করে আর রাসুল (সাঃ) এর কবর জিয়ারত না করে উনি কিভাবে নতুন চাকুরীতে যোগ দিবেন। তাই তিনি মক্কা গিয়ে প্রথমে উমরাহ্ পালন করলেন। অতঃপর তিনি মদিনাতে রাসুল সাঃ এর কবর জিয়ারতে গেলেন।
রাসুল সাঃ এর কবরের নিকট গিয়ে যখন তিনি যখন তিনি সালাম দিলেন, তখন তিনি দেখেন, রাসুল সাঃ রওজা থেকে বের হয়ে আসলেন এবং তাকে কাছে ডাকলেন। অতঃপর রাসুল সাঃ তাকে বললেন, আমেরিকার ধ্বংস অতি নিকটে। আর এই ভূমি (সৌদি আরব) থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত সকল ভূখণ্ড যুদ্ধের ময়দানে পরিণত হবে। তখন এই ভাই বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমার জন্য আল্লাহর নিকট মাগফিরাতের দোয়া করেন। তখন রাসুল সাঃ বলেন, তুমি প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে মেসওয়াকের পাবন্দি করবে”।
বিঃদ্রঃ সৌদি আরব থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত ভূখণ্ডসমূহ হল সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান।
আমরা দেখেছি ২০১৪ সালের জুন মাসে ইসলামিক স্টেটের মসুল দখলের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের মিডিয়াতে ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধ সবার সামনে চলে আসে। আগস্ট ২০১৪ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ৬০ টি দেশের সম্মিলিত বিমান হামলা এখনও চলছে যার দৈনিক খরচ ৩.৫ মিলিয়ন ইউ এস ডলার। (যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ওয়েব সাইটের তথ্য অনুযায়ী)।
আর এই বছর মার্চের ২৬ থেকে সৌদি আরব তার আরব জোট ( সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত) নিয়ে বিমান হামলা শুরু করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে।
গত ০৬ এপ্রিল,২০১৫ ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিমান, রণতরী ও স্থলসেনার সাহায্য চায় সৌদি আরব।
সোমবার (গত ০৬ এপ্রিল,২০১৫) সৌদির সাহায্য চাওয়ার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
এদিন সৌদি নেতৃত্বাধীন যুদ্ধে পাকিস্তান অংশ নেবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক হয় সংসদে। বিতর্ক চলাকালেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী সৌদি আরবের সাহায্য চাওয়ার কথা জানান।
ইয়েমেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার করতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বুধবার (গত ০৮ এপ্রিল,২০১৫) পাকিস্তান সফর করেন।
শিয়া গোষ্ঠী হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে চালানো সৌদি আরবের হামলার কঠোর সমালোচনা করেছে ইরান।
আসিফ বলেন, ‘সৌদি আরব আমাদের কাছে যুদ্ধবিমান, রণতরী ও স্থলসেনার সাহায্য চেয়েছে।’
রিয়াদের সাথে ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও ইয়েমেন যুদ্ধে এখনো সরাসরি জড়ায়নি পাকিস্তান। সৌদি নেতৃত্বাধীন এই যুদ্ধে তারা অংশ নেবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা করছেন দেশটির নীতি নির্ধারকরা।
এদিকে ইয়েমেন উপকূলে এডেন উপসাগরে বুধবার (গত ০৮ এপ্রিল,২০১৫) দুটি রণতরী পাঠিয়েছে ইরান। এর মাধ্যমে ইয়েমেনের উপকূলে সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করলো তেহরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
ইরান সমর্থিত শিয়া হুথি বিদ্রোহীদের দমনে ২৬ মার্চ থেকে এডেনে বিমান হামলায় চালাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুন্নী শাসিত সৌদি আরব।
ইরানের রিয়ার অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সায়ারিকে উদ্ধৃত করে প্রেস টিভি জানায়, জলদস্যুদের হাত থেকে ইরানি জাহাজ রক্ষায় আলবোরজ ডেস্ট্রয়ার এবং এর সহযোগী বুশেহর ইরানের বন্দর আব্বাস থেকে ছেড়ে গেছে।
সায়ারি জানান, ইরানি রণতরী এডেন উপসাগরে, ইয়েমেনের দক্ষিণে এবং লোহিত সাগরে পাহারা দেবে।
এই এলাকা বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ চলাচলকারী রুট এবং ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের প্রবেশদ্বার।
অথচ এই মুহূর্তে হুথি বিদ্রোহীদের হটাতে ইয়েমেনের আকাশ ও নৌ অবরোধ আরোপ করেছে সৌদি আরব এবং তার আরব মিত্ররা।
হুথি বিদ্রোহীদের সহায়তার জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করেছে রিয়াদ যা তেহরান অস্বীকার করে আসছে।
আমরা যারা এই উম্মতকে বিজয়ী দেখতে চাই এবং "১০১৪ থেকে ২০১৮ থেকে ২০২১ থেকে ২০২৫" টাইম লাইন পার করছি, নিঃসন্দেহে এই তথ্যটি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
No comments:
Post a Comment