২০১৪ তে এসে আঞ্চলিক পরাশক্তি
ভারত এখন কালো পতাকাবাহী তালেবানদের সাথে যুদ্ধরত আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীকে
অস্ত্রেশস্ত্রে শক্তিশালী করাকে নিজের দায়িত্ব মনে করে।
আমরা ইতিমধ্যেই
জেনেছি যে, আধুনিক রোমান (পশ্চিমা) মহাজোট ও ন্যাটোর সেনা উপস্থিতির সংখ্যাগত আকার
এখন ২০১৪ থেকে ছোট হতে চলেছে এই খোরাসানের কালো পতাকাবাহীদের বিপরীতে।
কারণ, হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“যখন কালো
পতাকাগুলো পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে বের হবে, তখন কোন বস্তু
তাদেরকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। এমনকি এই পতাকাকে ইলিয়ায় (বাইতুল মুকাদ্দাসে)
উত্তোলন করা হবে (খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে)”।
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ২২৬৯;মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ৮৭৬০)
প্রতিহত করতে না
পারলেও সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতা তৈরির ব্যাপারে বর্ণনা এসেছে। ইমাম জুহরি বলেছেন, আমার কাছে এই বর্ণনা পৌঁছেছে যে,
“খোরাসান থেকে
কালো পতাকা বের হবে। সেটি যখন খোরাসানের ঘাঁটি থেকে অবতরণ করবে, তখন ইসলামের খোঁজে অবতরণ করবে। কোন বস্তু তাদের
মাঝে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারবে না অনারবদের পতাকাগুলো ব্যতীত, যেগুলো পশ্চিম দিক থেকে আসবে”।
(কানাজুল উম্মাল, খণ্ড ১১, পৃষ্ঠা ১৬২)
তাই আঞ্চলিক
পরাশক্তি হিসাবে মুশরিক সংখ্যাগরিষ্ঠ এই ভূখণ্ড এখন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে
যে, সে এখন নিজের অর্থ দিয়ে আফগান সেনা বাহিনীকে অস্ত্র কিনে দিবে। আর এর জন্য
নয়াদিল্লী ইতিমধ্যে মস্কোর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই চুক্তির অধীনে রাশিয়া আফগানিস্তানকে
যে সকল অস্ত্র সরবরাহ করবে তার মুল্য পরিশোধ করবে ভারত।
যদিও গত কয়েক মাস
ধরে এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হচ্ছিল, কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের প্রতিনিধি দলের
এক গোপন সফরের পরে তা সমাধানে আসে।
সুত্র জানায়,
ইতিমধ্যে এই চুক্তির অধীনে প্রথম চালান সম্পন্ন হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে
ভারতের সংসদে কংগ্রেস সরকার দীর্ঘ আলোচনা হয় এবং দুইটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়, প্রথমতঃ ভারত তার
কোন সেনা আফগানিস্তানে সরাসরি পাঠাবে না। দ্বিতীয়তঃ সহজে বহনযোগ্য কোন ছোট অস্ত্র
সরবরাহ করবে না।
মুলত এই অস্ত্র
সরবরাহের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মুশরিক এই ভূখণ্ডটি সরাসরি খোরাসানের কালো
পতাকাবাহী দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল। যা কিনা নিকট ভবিষ্যতে “হিন্দুস্তানের
যুদ্ধ” শুরু হবার এক সম্ভাবনা বহন করে।
বিস্তারিত লিংকে
...
No comments:
Post a Comment