হযরত হুজায়ফা (রাঃ) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন বলেন,
“তারপর একজন ঘোষণাকারী প্রাচ্যে (পূর্বে, অর্থাৎ তৎকালীন খোরাসান বর্তমান আফগানিস্তান, তৎকালীন হিন্দুস্তানসহ বর্তমান বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তানসহ বিশ্ব মানচিত্র অনুযায়ী মক্কা-মদিনার পূর্বদিকে অবস্থিত সকল ভূখণ্ডগুলোতে অবস্থানরত সকল মুসলিমদের জন্য) ঘোষণা দিবে, ওহে লোকসকল, তোমরা সিরিয়ায় ঢুকে পড়ো। কারণ, সেটি মুসলমানদের আশ্রয়স্থল এবং তোমাদের নেতাও (ইমাম মাহদি) সেখানে অবস্থান করছেন। সেদিন মুসলমানদের উত্তম সম্পদ হবে সেই সব বাহন, যেগুলোকে আরোহণ করে তারা সিরিয়া প্রবেশ করবে। আর সেই সব খচ্চর, যেগুলোতে চড়ে তারা রওনা হবে। তারা সিরিয়া পৌঁছে যাবে। তোমাদের ইমাম ইয়েমেনবাসীদের নিকট বার্তা পৌছবেন, তোমরা আমাকে সাহায্য দাও। তখন সত্তর হাজার ইয়েমেনবাসী আদেন (ইয়েমেনের একটি প্রদেশ) এর তাগড়া উটের পিঠে আরোহণ করে বন্ধ তরবারিগুলো ঝুলিয়ে আসবে এবং বলবে, আমরা আল্লাহর সাচ্চা বান্দা। না আমরা প্রতিদান-পুরস্কারের প্রত্যাশী, না জীবিকার সন্ধানে এসেছি। এমনকি তারা আন্তাকিয়ার আমাকে (বর্তমান মানচিত্র অনুযায়ী ‘আন্তাকিয়া’ দক্ষিন তুরস্কের সীমান্তবর্তী এলাকা যা সিরিয়ার আলেপ্পোর সাথে সীমানা ভাগাভাগি করছে এবং ‘আমাক’ সিরিয়ার এই আলেপ্পোর একটি অংশ, আরবীতে আলেপ্পোকে ‘হালাব’ বলা হয়) মাহদির নিকট চলে আসবে। তারা অন্যান্য মুসলমানদের সাথে যুক্ত হয়ে রোমানদের (খ্রিস্টানদের) বিরুদ্ধে ঘোরতর যুদ্ধ (মালহামার অংশ) লড়বে। এই যুদ্ধে ত্রিশ হাজার মুসলমান শহীদ হয়ে যাবে।
কোন রোমান (খৃষ্টান) এই ঘোষণা শুনতে পাবে না। তোমরা (মুসলিমরা) পায়ে পায়ে এগিয়ে চলবে। সে সময় তোমরা আল্লাহপাকের শ্রেষ্ঠতম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হবে”।
(আসসুনানুল ওয়ারিদাতুল ফিল ফিতান, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ১১০)
একমাত্র মুমিনরাই এই ডাকে সারা দিতে পারবে। মুনাফিক ও ফাসেকদের জন্য প্রযোজ্য নহে। তারা বরং এই আগমনের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করবে।
হযরত আমর ইবনে শু’আইব এর দাদা বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“জুলকা’দা মাসে বিভিন্ন গোত্রের মাঝে দ্বন্দ ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ঘটনা ঘটবে। ফলে হজ্জ পালনকারীরা লুণ্ঠিত হবে এবং মিনায় যুদ্ধ সংগঠিত হবে। সেখানে ব্যাপক প্রানহানির ঘটনা ঘটবে এবং রক্তের স্রোত বয়ে যাবে। অবশেষে তাদের নেতা (হযরত মাহদি) পালিয়ে রোকন ও মাকামে ইব্রাহিমের মধ্যখানে চলে আসবে। তাঁর অনীহা সত্ত্বেও মানুষ তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে। তাঁকে বলা হবে, আপনি যদি আমাদের থেকে বাইয়াত নিতে অস্বীকার করেন, তাহলে আমরা আপনার ঘাড় উড়িয়ে দিব। বদর যুদ্ধের সংখ্যার সমসংখ্যক মানুষ তাঁর হাতে বায়’আত গ্রহণ করবে। সেদিন যারা তার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে, আকাশ ও পৃথিবীর অধিবাসীরা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবে”।
(মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫৪৯)
সারা বিশ্বের জনসাধারণকে মিনার প্রান্তরের বিভিন্ন লাশের ছবি বার বার বিভিন্ন চ্যানেলে টিভি স্ক্রিনে দেখানো হবে আর ইমাম মাহদিকে পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করে ‘স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার সর্বাত্মক চেষ্টা চলতে থাকবে। আর সাথে থাকবে সুন্নতি লেবাসধারী সরকারী/দরবারি আলেমদের কুরআন হাদিসের আলোকে পুরো ঘটনার অপব্যাখ্যাওয়ালা টক শো।
আমরা ইতিমধ্যেই প্রত্যক্ষ করেছি, বিভিন্ন ভূখণ্ডে কিভাবে কোন ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দিয়ে তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করে দাজ্জালি মিডিয়ার মাধ্যমে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে সাধারণ মানুষের ব্রেইন ওয়াশ করা হয়েছে। আর এটি তো আরও অনেক বড় ব্যাপার। মিডিয়ার চালে চলমান এমন অপেক্ষাকৃত উদাসীন, শেষ জামানার আলামত সম্পর্কে অজ্ঞ ও দুর্বল ঈমানের মুসলমান নামধারীরা সেদিন ইমাম মাহাদির কথা মানা তো দূরের কথা, এদের মুখ থেকে কি ধরনের সব প্রতিক্রিয়া বের হতে থাকবে ...... এর আন্দাজ করা কঠিন নয়।
পক্ষান্তরে ঐ সকল ব্যক্তি যারা বিবিসি/সিএনএন এর মতো পশ্চিমা দাজ্জালি মিডিয়া ও তাদের বিভিন্ন ভাষাভাষী দালাল মিডিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়, সত্যকে গ্রহণ করতে বিন্দুমাত্র কাউকে ভয় করে না, কারও সাথে আপোষ করে না, যাদের অন্তর সদা হক্ক গ্রহণে উন্মুখ – তারা যদি পাহাড়ের গর্তেও অবস্থান করে, ইমাম মাহদির আবির্ভাবের জ্ঞান তাদের ঠিকই হয়ে যাবে।
“তারপর একজন ঘোষণাকারী প্রাচ্যে (পূর্বে, অর্থাৎ তৎকালীন খোরাসান বর্তমান আফগানিস্তান, তৎকালীন হিন্দুস্তানসহ বর্তমান বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তানসহ বিশ্ব মানচিত্র অনুযায়ী মক্কা-মদিনার পূর্বদিকে অবস্থিত সকল ভূখণ্ডগুলোতে অবস্থানরত সকল মুসলিমদের জন্য) ঘোষণা দিবে, ওহে লোকসকল, তোমরা সিরিয়ায় ঢুকে পড়ো। কারণ, সেটি মুসলমানদের আশ্রয়স্থল এবং তোমাদের নেতাও (ইমাম মাহদি) সেখানে অবস্থান করছেন। সেদিন মুসলমানদের উত্তম সম্পদ হবে সেই সব বাহন, যেগুলোকে আরোহণ করে তারা সিরিয়া প্রবেশ করবে। আর সেই সব খচ্চর, যেগুলোতে চড়ে তারা রওনা হবে। তারা সিরিয়া পৌঁছে যাবে। তোমাদের ইমাম ইয়েমেনবাসীদের নিকট বার্তা পৌছবেন, তোমরা আমাকে সাহায্য দাও। তখন সত্তর হাজার ইয়েমেনবাসী আদেন (ইয়েমেনের একটি প্রদেশ) এর তাগড়া উটের পিঠে আরোহণ করে বন্ধ তরবারিগুলো ঝুলিয়ে আসবে এবং বলবে, আমরা আল্লাহর সাচ্চা বান্দা। না আমরা প্রতিদান-পুরস্কারের প্রত্যাশী, না জীবিকার সন্ধানে এসেছি। এমনকি তারা আন্তাকিয়ার আমাকে (বর্তমান মানচিত্র অনুযায়ী ‘আন্তাকিয়া’ দক্ষিন তুরস্কের সীমান্তবর্তী এলাকা যা সিরিয়ার আলেপ্পোর সাথে সীমানা ভাগাভাগি করছে এবং ‘আমাক’ সিরিয়ার এই আলেপ্পোর একটি অংশ, আরবীতে আলেপ্পোকে ‘হালাব’ বলা হয়) মাহদির নিকট চলে আসবে। তারা অন্যান্য মুসলমানদের সাথে যুক্ত হয়ে রোমানদের (খ্রিস্টানদের) বিরুদ্ধে ঘোরতর যুদ্ধ (মালহামার অংশ) লড়বে। এই যুদ্ধে ত্রিশ হাজার মুসলমান শহীদ হয়ে যাবে।
কোন রোমান (খৃষ্টান) এই ঘোষণা শুনতে পাবে না। তোমরা (মুসলিমরা) পায়ে পায়ে এগিয়ে চলবে। সে সময় তোমরা আল্লাহপাকের শ্রেষ্ঠতম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হবে”।
(আসসুনানুল ওয়ারিদাতুল ফিল ফিতান, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ১১০)
একমাত্র মুমিনরাই এই ডাকে সারা দিতে পারবে। মুনাফিক ও ফাসেকদের জন্য প্রযোজ্য নহে। তারা বরং এই আগমনের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করবে।
হযরত আমর ইবনে শু’আইব এর দাদা বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“জুলকা’দা মাসে বিভিন্ন গোত্রের মাঝে দ্বন্দ ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ঘটনা ঘটবে। ফলে হজ্জ পালনকারীরা লুণ্ঠিত হবে এবং মিনায় যুদ্ধ সংগঠিত হবে। সেখানে ব্যাপক প্রানহানির ঘটনা ঘটবে এবং রক্তের স্রোত বয়ে যাবে। অবশেষে তাদের নেতা (হযরত মাহদি) পালিয়ে রোকন ও মাকামে ইব্রাহিমের মধ্যখানে চলে আসবে। তাঁর অনীহা সত্ত্বেও মানুষ তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে। তাঁকে বলা হবে, আপনি যদি আমাদের থেকে বাইয়াত নিতে অস্বীকার করেন, তাহলে আমরা আপনার ঘাড় উড়িয়ে দিব। বদর যুদ্ধের সংখ্যার সমসংখ্যক মানুষ তাঁর হাতে বায়’আত গ্রহণ করবে। সেদিন যারা তার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে, আকাশ ও পৃথিবীর অধিবাসীরা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবে”।
(মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫৪৯)
সারা বিশ্বের জনসাধারণকে মিনার প্রান্তরের বিভিন্ন লাশের ছবি বার বার বিভিন্ন চ্যানেলে টিভি স্ক্রিনে দেখানো হবে আর ইমাম মাহদিকে পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করে ‘স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার সর্বাত্মক চেষ্টা চলতে থাকবে। আর সাথে থাকবে সুন্নতি লেবাসধারী সরকারী/দরবারি আলেমদের কুরআন হাদিসের আলোকে পুরো ঘটনার অপব্যাখ্যাওয়ালা টক শো।
আমরা ইতিমধ্যেই প্রত্যক্ষ করেছি, বিভিন্ন ভূখণ্ডে কিভাবে কোন ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দিয়ে তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করে দাজ্জালি মিডিয়ার মাধ্যমে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে সাধারণ মানুষের ব্রেইন ওয়াশ করা হয়েছে। আর এটি তো আরও অনেক বড় ব্যাপার। মিডিয়ার চালে চলমান এমন অপেক্ষাকৃত উদাসীন, শেষ জামানার আলামত সম্পর্কে অজ্ঞ ও দুর্বল ঈমানের মুসলমান নামধারীরা সেদিন ইমাম মাহাদির কথা মানা তো দূরের কথা, এদের মুখ থেকে কি ধরনের সব প্রতিক্রিয়া বের হতে থাকবে ...... এর আন্দাজ করা কঠিন নয়।
পক্ষান্তরে ঐ সকল ব্যক্তি যারা বিবিসি/সিএনএন এর মতো পশ্চিমা দাজ্জালি মিডিয়া ও তাদের বিভিন্ন ভাষাভাষী দালাল মিডিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়, সত্যকে গ্রহণ করতে বিন্দুমাত্র কাউকে ভয় করে না, কারও সাথে আপোষ করে না, যাদের অন্তর সদা হক্ক গ্রহণে উন্মুখ – তারা যদি পাহাড়ের গর্তেও অবস্থান করে, ইমাম মাহদির আবির্ভাবের জ্ঞান তাদের ঠিকই হয়ে যাবে।
No comments:
Post a Comment