সম্ভাব্যতাঃ যেভাবে হতে পারে আগামী বছরগুলোতে মুসলিম বিশ্বের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন !!!

২০১৪-২০২১ – বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সীমান্তগুলো ক্রমেই ঝাপ্সা হয়ে যেতে থাকবে। এর কারণ হল মুসলিমরা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কাছ থেকে মুসলিম ভূমির সম্পদ ছিনিয়ে নেবার জন্যে যুদ্ধ শুরু করবে। ফলে বিভিন্ন সীমান্ত এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চল চরম্ভাবে অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে।

এই অস্থিতিশীলতা দমনের লক্ষ্যে বহিঃশক্তি [ন্যাটো/আধুনিক রোমান জোট/আঞ্চলিক যে কোন পার্শ্ববর্তী উঠতি কাফের পরাশক্তি] আক্রমন করলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে। বহিঃশক্তির আক্রমণের ক্ষেত্রে ড্রোন আক্রমনে নিহত নিরীহ জনগণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এই মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবার জন্য পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য জিহাদীদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে।

পশ্চিমা অর্থনীতিগুলো ধ্বংসের দাড়গোড়ায় পৌছে যাবে। তাঁরা তখন বুঝতে পারবে, অর্থনৈতিকভাবে তাঁদের পক্ষে সমগ্র মুসলিম বিশ্ব জুড়ে এই মুসলিমদের বিপক্ষে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। পশ্চিমা শক্তি যখন নিঃশেষিত হবে [ ইতিমধ্যেই তাঁরা ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণের বোঝা এবং অর্থনৈতিক মন্দার ভাড় বহন করছে] তখন তাঁরা বিভিন্ন মুসলিম ভূখণ্ড থেকে পিছু হটবে, যেরকম তাঁরা করেছে ইরাক এবং আফগানিস্তানে।

২০২১- ২০২৫ এই পর্যায়ে ঔপনিবেশিক শক্তির সহায়তায় টিকে থাকা মুলিম বিশ্বের পুতুল শাসকগোষ্ঠীগুলোর আর কোনরকম জনসমর্থন থাকবে না। পশ্চিমা হস্তক্ষেপের আশঙ্কা না থাকায় সাধারণ মুসলিম জনগণও এই দুর্নীতিগ্রস্থ শাসকদের সম্পূর্ণভাবে উৎখাত করবে।

মুসলিম ভূখণ্ডগুলোর নেতৃত্ব চলে যাবে ইসলামী মতাদর্শের অনুসারী সুন্নী রাজনৈতিক সক্তিগুলোর হাতে। মুসলিম বিশ্বের মধ্যেকার সীমান্তগুলো মুছে যাবে, কারণ এইসব সীমান্ত বহাল রাখার মতো কোন শক্তি থাকবে না। পুতুল শাসকগোষ্ঠী ইতিমধ্যেই অপসারিত হয়েছে এবং পশ্চিমারাও আর হস্তক্ষেপ করতে পারছে না।

বিশ্বব্যাপী খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা হবে। ইসলামের ভিত্তিতে ইসলামের পুনঃজাগরণ, যা এরই মধ্যে পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে – দেবে এই খিলাফাহর আদর্শিক সমর্থন।

এ অবস্থায় সম্পদ এবং শক্তির দিক দিয়ে মুসলিম বিশ্ব পশ্চিমের সাথে সাম্যাবস্থায় থাকবে। কিন্তু পশ্চিমা পরাশক্তিরা আর মুসলিম বিশ্বের সম্পদ লূট করতে পারবে না। মুসলিম বিশ্বের সম্পদ তাঁদের হাত ছাড়া হয়ে যাবে। এরকম পরিস্থিতিতে পশ্চিমারা কি করবে?  

আল্লাহই ভাল জানেন।