আফ্রিকা (মিশর,মাগরিব ও অন্যান্য মুসলিম ভূখণ্ড)ঃ ২০১৪ নিয়ে কে ভয়ে আছে?
আফ্রিকার দেশগুলো নিয়ে আমাদের কতটুকু জানা আছে জানি না কিন্তু ইসলামের
উত্থানে এরা বার বারই অবদান রেখেছে। হাদিসে বর্ণিত 'মাগরিব' এর অন্তর্ভুক্ত বর্তমান আফ্রিকান ভূখণ্ডগুলো হল লিবিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো, তিউনিশিয়া ও মৌরতানিয়া।
সেই আবিসসিনিয়ার নাজাসিস থেকে শুরু করে
সালাহউদ্দিন আইয়ুবি কার কথা বলব, সবাই ইসলামের ঝাণ্ডাকে তুলে ধরেছেন
সর্বশক্তি দিয়ে। পার্ট টাইম কোন জব নয়, ফুল টাইম জব এবং বছরে কোন ছুটি
ছাড়াই উনারা ৩৬৫ দিন ও রাত সমান তালে ইসলামের জন্য কাজ করে গেছেন। সালাহ
উদ্দিন আইয়ুবির বাবা তো উনাকে অন্য ছেলেদের সাথে খেলতে দিতেন না এই বলে যে,
“তোমাকে প্যালেস্টাইনকে মুক্ত করতে হবে, তাই সাধারণ খেলাধুলার কোন সময়
তোমার নাই”। আমরা যারা সালাহ উদ্দিন আইয়ুবির ঘটনা জানি, তারা সকলেই জানেন
যে, ঐ সময়ের আলেমরা উনাকে নিষেধ করেছিলেন ফি সাবিলিল্লাহতে বের হতে কিন্তু তিনি
মানেননি এবং প্যালেস্টাইন কুফফারমুক্ত করেই ছেড়েছিলেন। প্যালেস্টাইন ফিরে
পাবার জন্য এখন আমাদের আরেকজন সালাহ উদ্দিন আইয়ুবি দরকার।
মিশর
দিয়েই শুরু করা যাক। মিশরে যুগে যুগে ফিরাউন ছিল আর এদেরকে সরানোর জন্য
আল্লাহ্ তাঁর প্রিয় বান্দাদেরই কাজে লাগিয়েছিলেন। মাহমুদ আল বান্নার হাত
ধরে যে মুসলিম ব্রাদারহুডের জন্ম তারা শত নির্যাতনেও শেষ পর্যন্ত টিকে ছিল
এবং মিশরের ইতিহাসের একমাত্র ফেয়ার ইলেকশনে ডঃ মুরসি, হাফিযাল্লাহ
প্রেসিডেন্ট হন। কিন্তু কুফফারদের ষড়যন্ত্রে উনি ক্ষমতাচ্যুত হলেও আমরা
দেখেছি একজন ইসলামিক শাসক কেমন হয় দেখতে। উনার পতনের পর মিশরে মুসলিম নিধন
চলেছে মশা নিধনের মত। মুসলিমরা মৃত্যু নিয়ে ভয় পায় না কারণ আমরা আল্লাহ্র
কাছ থেকে আসি এবং আল্লাহ্র কাছেই ফিরে যাই। ফিরাউন সিসি এখন দেখছে আসল ফি সাবিলিল্লাহ কাকে বলে। এতে মুসলিমদের কষ্ট হলেও সেটা আল্লাহ্র জন্য তারা
হাসিমুখে মেনে নেয়। আনসার বায়িত আল মাকদিস এখন মিশরে কুফফার আর মুনাফিকদের
ঘুম কেড়ে নিয়েছে। যদিও গণতন্ত্রের উপর সওয়ার হয়ে পুর্নাংগ ইসলাম আসার ইতিহাস দুনিয়াতে নেই এখন পর্যন্ত, তথাপি ফি সাবিলিল্লাহর বীজ বুনে দিয়েছে ডঃ মুরসির পতন। এতে স্বস্তিতে নেই ইহুদীরাও। এরা এতে অনেক বেশীই দুশ্চিন্তায় আছে। এবার গাজাতে এরা
আর্টিফিশিয়ালভাবে সুয়ারিজের পানি দিয়ে বন্যা তৈরি করেছে। কিন্তু গাজাবাসি
এর চেয়ে অনেক বেশী কঠিন সময় অনেক আগেই পার করে এসেছে। সুতরাং মিশরেও ভয়ে
আছে কুফফার আর মুনাফিকরাই।
এভাবে মরক্কো, তিউনিসিয়া, লিবিয়া যেসব
দেশে ফি সাবিলিল্লাহর নাম কখনই এতটা জোড়ে শোনা যায়নি, এখন সেখানে আনসার আল শরিয়ার
ভাইরা প্রস্তুত রয়েছে। উত্তর সুদান, সোমালিয়াসহ অন্যান্য মুসলিম আফ্রিকান
দেশগুলোর অনেক গুলোতেই বিভিন্ন এলাকায় এখন শরিয়া আইন চালু। সোমালিয়াতে
আমেরিকার সবচেয়ে চৌকস বাহিনী সিল গিয়েছিল আল সাবাবের ভাইদের ধরতে কিন্তু
পরে লেজ গুঁটিয়ে পালিয়েছে আমেরিকার বীর সেনারা। আমেরিকা এখন যেটা পারে সেটা
হচ্ছে কাপুরুষের মত ড্রোন আক্রমণ। ওরা এই জীবনে আর কোন দিনও কোন মুজাহিদের
সামনাসামনি হবে না কারণ এদের পুরুষত্বের কিছুই অবশিষ্ট নেই। ভিয়েতনাম
যুদ্ধের পর যাই একটু বাকি ছিল তা ইরাক আর আফগানিস্থানের মুজাহিদরা শেষ করে
দিয়েছে। তাই তো এখন তারা ইরাক ও আফগানিস্থান ফেরত এই কাপুরুষদের মানসিক
চিকিৎসা দিয়েও ঠেকাতে পারছে না ক্রমবর্ধমান জানবাজ হামলা। আফ্রিকাতে সবচেয়ে
পর্যুদস্ত হল ইউরোপের মাস্তান ফ্রান্স। কিন্তু ফ্রান্সের সরকারকে প্রতিদিনই
ফিউনারেলের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয় কারণ আফ্রিকান (মালির) মুজাহিদরা ফ্রান্সের
সৈন্যদের যে ঔষধ দিচ্ছে তাতে রাত নাই দিন নাই, যেকোন সময়ই তাদের মৃত্যু খবর
পৌঁছে যায় প্যারিসে।
তিউনিসিয়ার সেই মেয়েকে নোবেল পুরষ্কার
দিয়ে, লিবিয়ার গাদ্দাফিকে সরিয়ে মুসলিমদেরকে এরা ঘোল খাওয়াতে চেয়েছিল
কিন্তু মুজাহিদরা কি এত সহজে ঘোল খায়! কি ইনজেকশনটাই না দিল লিবিয়ার বেনগাজিতে জানুয়ারী ২০১৩ তে (যুক্তরাষ্ট্রের দুতাবাস আক্রমণ করে ইসলামপন্থীদের হাতে রাষ্ট্রদূতকে হত্যা)।
ঐটার ব্যাথাতেই ২০১৪ ওদের কাবু রাখবে।
পুরো আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলোকে
নিয়েই আধুনিক রোমান মহাজোট (ইউরোপ এবং আমেরিকা) এর কুফফার ও মুনাফিকরা ভয়ে থাকবে ২০১৪ সালে।
No comments:
Post a Comment