এক ভাই আমাকে ইয়েমেনের এক বোনের কথা বলল, যার স্বামী ছিল আল্লাহ্র
রাস্তায় একজন শহীদ। বোনটি তার প্রতিবেশীর বাড়িতে যেয়ে খোঁজ নিচ্ছিল, তাদের
কোন পুরাতন জামা কাপড় আছে কিনা যাতে ঈদের
দিন তার বাচ্চারা কাপড় পড়তে পারে। চিন্তা করুন একবার, আপনি যদি ঐ
পরিস্থিতিতে থাকতেন এবং আপনাকে এই ভাবে ভিক্ষা করতে হচ্ছে। ভিক্ষা করতে
হচ্ছে নতুন জামার জন্য নয় বরং পুরাতন জামা কাপড়ের জন্য যাতে ঈদের দিন আপনার
ছোট বাচ্চারা কিছু জামা কাপড় পায়।
কেন তার এই অবস্থা? কারন তার স্বামী নিজের জন্য মারা যায় নি, তার স্বামী শহীদ হয়েছে উম্মাহর জন্য। ওয়াল্লাহি! এইটা হচ্ছে চরম বিশ্বাসঘাতকতা। আর আমরা তা মেনেও নিয়েছি। আমরা আমাদের ভাইদের পরিত্যাগ করেছি, মুসলিম উম্মাহ তাদের পরিত্যাগ করেছে। কারন তারা আল্লাহ্র রাস্তায় তারা তাদের জীবন উৎসর্গ করল। কেন তারা এইটা করল? তারা নিজেদের ব্যক্তিগত লাভের আশায় তো এইটি করে নি। এই ব্যক্তিটি হয়তোবা একজন সফল চিকিৎসক, ব্যবসায়ী বা প্রকৌশলী হতে পারতো। সে খেয়ে পরে সুন্দর ভাবে তাঁর সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারতো। সে ঘর থেকে বেড়িয়েছে শুধুমাত্র আমার আপনার কারনে, মুসলিম উম্মাহর কারনে; আর এভাবেই এজন্যই আমরা তাকে এভাবে প্রতারিত করেছি। সে প্রতারিত হয়েছে, তাঁর স্ত্রী প্রতারিত হয়েছে, তাঁর সন্তানেরা প্রতারিত হয়েছে, তাঁর গোটা পরিবার প্রতারিত হয়েছে। শুধু তাই নয় মিডিয়ার লোকেরা প্রতিনিয়ত তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলছে, এমনকি মুসলিমরাও মিডিয়াতে তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলছে। অথচ সে এই উম্মাহর কল্যাণে তাঁর জীবন ব্যয় করেছে। কোন কিছুই বিনামূল্যে পরিশোধ হয় না। আমাদের কে কিয়ামতের দিন অবশ্যই এই ব্যাপারে উত্তর দিতে হবে। আমাদের কে অবশ্যই এর জন্য দায়ী থাকতে হবে যদি আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকি।
আপনি যখনই দেখবেন আপনার মুসলিম ভাইদের হয়রানি করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, নিন্দা করা হচ্ছে আর আপনি হাত গুটিয়ে বসে আছেন। সাবধান হোন পরবর্তীতে নির্যাতিত হতে যাওয়া লোকটি কিন্তু আপনিই। পাশাপাশি দুনিয়াতে আপনাকে এর জন্য মূল্য পরিশোধ করতে হবে, আখিরাতেও করতে হবে। আপনি আপনার ভাইদেরকে যখন এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে দিবেন, নিশ্চিত থাকুন আপনার জন্য শাস্তি প্রস্তুত আছে। দুনিয়াতে তা আপনার শারীরিক অসুস্থতা, পারিবারিক সমস্যা, সম্পদের উপর দিয়ে যেতে পারে। আল্লাহ্ অবশ্যই এর জন্য আপনাকে মূল্য পরিশোধ করিয়েই ছাড়বেন।
কেন তার এই অবস্থা? কারন তার স্বামী নিজের জন্য মারা যায় নি, তার স্বামী শহীদ হয়েছে উম্মাহর জন্য। ওয়াল্লাহি! এইটা হচ্ছে চরম বিশ্বাসঘাতকতা। আর আমরা তা মেনেও নিয়েছি। আমরা আমাদের ভাইদের পরিত্যাগ করেছি, মুসলিম উম্মাহ তাদের পরিত্যাগ করেছে। কারন তারা আল্লাহ্র রাস্তায় তারা তাদের জীবন উৎসর্গ করল। কেন তারা এইটা করল? তারা নিজেদের ব্যক্তিগত লাভের আশায় তো এইটি করে নি। এই ব্যক্তিটি হয়তোবা একজন সফল চিকিৎসক, ব্যবসায়ী বা প্রকৌশলী হতে পারতো। সে খেয়ে পরে সুন্দর ভাবে তাঁর সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারতো। সে ঘর থেকে বেড়িয়েছে শুধুমাত্র আমার আপনার কারনে, মুসলিম উম্মাহর কারনে; আর এভাবেই এজন্যই আমরা তাকে এভাবে প্রতারিত করেছি। সে প্রতারিত হয়েছে, তাঁর স্ত্রী প্রতারিত হয়েছে, তাঁর সন্তানেরা প্রতারিত হয়েছে, তাঁর গোটা পরিবার প্রতারিত হয়েছে। শুধু তাই নয় মিডিয়ার লোকেরা প্রতিনিয়ত তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলছে, এমনকি মুসলিমরাও মিডিয়াতে তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলছে। অথচ সে এই উম্মাহর কল্যাণে তাঁর জীবন ব্যয় করেছে। কোন কিছুই বিনামূল্যে পরিশোধ হয় না। আমাদের কে কিয়ামতের দিন অবশ্যই এই ব্যাপারে উত্তর দিতে হবে। আমাদের কে অবশ্যই এর জন্য দায়ী থাকতে হবে যদি আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকি।
আপনি যখনই দেখবেন আপনার মুসলিম ভাইদের হয়রানি করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, নিন্দা করা হচ্ছে আর আপনি হাত গুটিয়ে বসে আছেন। সাবধান হোন পরবর্তীতে নির্যাতিত হতে যাওয়া লোকটি কিন্তু আপনিই। পাশাপাশি দুনিয়াতে আপনাকে এর জন্য মূল্য পরিশোধ করতে হবে, আখিরাতেও করতে হবে। আপনি আপনার ভাইদেরকে যখন এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে দিবেন, নিশ্চিত থাকুন আপনার জন্য শাস্তি প্রস্তুত আছে। দুনিয়াতে তা আপনার শারীরিক অসুস্থতা, পারিবারিক সমস্যা, সম্পদের উপর দিয়ে যেতে পারে। আল্লাহ্ অবশ্যই এর জন্য আপনাকে মূল্য পরিশোধ করিয়েই ছাড়বেন।
কারন? আমরা এমন একটি উম্মাহর সদস্য যে উম্মাহর কোন ফ্রি সদস্যপদ নেই। উম্মাহর প্রত্যেক সদস্যের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। মুহাম্মাদ(সা) এর উম্মাহর প্রত্যেকটি ব্যক্তিরই উম্মাহর জন্য দায়িত্ব রয়েছে; কারন এটা একটা সম্মান। মুহাম্মাদ(সা) এর উম্মত হওয়া এমন এক সম্মান যে, নবী রাসুলরাও এই উম্মাহর সদস্য হতে চেয়েছিল। মুসা(আ) এর মনে তীব্র ইচ্ছা ছিল তিনি যেন এই উম্মাহর সদস্য হতে পারেন; আর আল্লাহ্ আমাকে আপনাকে সেই সম্মানটা দিয়েছেন। সেই উম্মাহর অংশ বানিয়েছেন যা পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠ উম্মাহ।
তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে।[৩ঃ১১০]
কিন্তু আমাকে আপনাকে এই সম্মান এমনি এমনি দিয়ে দেয়া হয় নি, কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে এই উম্মাহর সদস্য হিসেবে।
উম্মাহর প্রত্যেকটি সদস্যের ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে কারন, রাসুল(সা) বলেন যে, এই সমগ্র উম্মাহই একটি দেহের মত, যদি এর কিছু অংশ আঘাত প্রাপ্ত হয় তাহলে গোটা দেহই এর ব্যাথা অনুভব করে। আপনি আপনার হাতের ছোট আঙ্গুলটিকে আপনার শরীর থেকে আলাদা চিন্তা করতে পারবেন না। যদি কনিষ্ঠা আঙ্গুলটিও ব্যথা পায় আপনার দেহেও এর ব্যথা অনুভূত হবে।”
No comments:
Post a Comment