এয়ারটেলের
"বন্ধু ছাড়া লাইফ ইমপসিবল" অ্যাড টা দেখে বুঝতে পারলাম কি সূক্ষ্মভাবে
তাদের বলতে না পারা কথাগুলো তারা অ্যাডের মাধ্যমে খোলাসা করে বুঝিয়ে দিল ।
এতে সিমের বিক্রি বাড়ল , সাথে এই দেশে অপসংস্কৃতির বিস্তার লাভে নতুন
মাত্রা যোগ দিতে সহায়তাও করে গেল। অ্যাড টা তে মূল থিম ছিল , "বন্ধু ছাড়া
লাইফ ইমপসিবল "। এইখানে তারা যেটা জোর দিয়ে বলতে পারলো না সেটা হল , "অবাধ
মেলামেশায় তৈরি ছেলে বন্ধু-মেয়ে বন্ধু ছাড়া লাইফ অচল ।"
আলহামদুলিল্লাহ যে সকল ছেলে আল্লাহর ভয়ে তথাকথিত মেয়ে বান্ধবী বা যেসকল মেয়ে জীবনে ছেলে বন্ধুর প্রয়োজন এমন বিষয়ের সাথে কখনও নিজেকে জড়িত রাখেনি তারা কি লাইফে সফলতা অর্জন করেননি ? স্টুডেন্ট লাইফে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা-ই কি সফলতা ? ক্যাম্পাসে পরপুরুষ বা পরনারীর হাত ধরে হাসি-তামাশার মাধ্যমে স্টুডেন্ট লাইফ শেষ করায় কি সফলতা ?
আলহামদুলিল্লাহ যে সকল ছেলে আল্লাহর ভয়ে তথাকথিত মেয়ে বান্ধবী বা যেসকল মেয়ে জীবনে ছেলে বন্ধুর প্রয়োজন এমন বিষয়ের সাথে কখনও নিজেকে জড়িত রাখেনি তারা কি লাইফে সফলতা অর্জন করেননি ? স্টুডেন্ট লাইফে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা-ই কি সফলতা ? ক্যাম্পাসে পরপুরুষ বা পরনারীর হাত ধরে হাসি-তামাশার মাধ্যমে স্টুডেন্ট লাইফ শেষ করায় কি সফলতা ?
অথচ দেখুন , খুবই পরিকল্পনার সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের মগজে প্রবেশ করানো হচ্ছে কলেজ-ভার্সিটি মানেই বন্ধু-বান্ধবী , টিএসসি চত্বরে আড্ডা , নারী-পুরুষ পরস্পরের মাঝে অবাধ বিচরণক্ষেত্র এবং এনজয় করার উপযুক্ত সময় । এইভবে চলতে চলতে একসময় কারো কারো (নারী হোক বা পুরুষই হোক) যদি সতীত্বও চলে যায় তখন তারা মনে করে এটা কোন ব্যাপার না , এটা লাইফের একটা অংশ , কলেজ-ভার্সিটি জীবনে এইরকম হয়েই থাকে । আর এইভাবেই আমরা ভুলে যাই আল্লাহর হুকুমের কথা , আখেরাতে আল্লাহর কাছে নিজের অণু পরিমান কৃতকর্মের জবাবদিহি দেওয়ার বাধ্যবাধকতার কথা , আল্লাহ আমাদের প্রত্যেকের জন্য যে একজন জীবনসাথী নির্ধারণ করে রেখেছেন তাকে ঠকানোর কথা।
বর্তমানে অশ্লীলতার দিকে দেশের জনগণকে ভয়ানক ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে অশ্লীলতার প্রতি উৎসাহী করা হচ্ছে। অথচ কুরআনে অশ্লীল কাজ করা তো দূরে থাক ধারে-কাছেও যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
"প্রকাশ্যে বা গোপনে অশ্লীল বিষয়ের ধারে কাছেও যাবে না" (আল আন'আম: আয়াত ১৫১)
আরেকটি আয়াতে বলা হয়েছে,
"যারা চায় মু’মিনদের সমাজে অশ্লীলতার প্রসার ঘটুক তারা দুনিয়ায় ও আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে।" (আন নূর: আয়াত ১৯)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা সীমা লংঘনকারীদের পছন্দ করেন না এবং একজন মানুষের জীবনের সবচাইতে বড় দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে যদি সে নিজ কর্মের গুনে হিদায়াহ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় ।
একবার সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, হে
রাসুল (সাঃ) আমাদের মাঝে সৎকর্মশীল থাকাতেও কি আমরা ধ্বংস হবো? নবীজী
বললেন, ‘হ্যা! যখন পাপকাজ ও অশ্লীলতা বেড়ে যাবে" (বুখারী ও মুসলিম)।
আর কিছু বলতে চাইনা , যারা বুঝার তারা
এতটুকুতেই বুঝে নিবে । মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন এবং বুঝার
তৌফিক দান করুন । আমীন
No comments:
Post a Comment