Saturday, July 27, 2013

বড় লাভের ব্যবসা করলে, সুহাইব

নবুওয়াতের তখন একদম শিশুকালনবুওয়াতের বাতি জ্বলছে। জ্বলছে মক্কার ছোট গন্ডির মধ্যেজাহেলিয়াতের অন্ধকার এ আলোক শিখাকে গলাটিপে মারার প্রানান্তকর প্রচেষ্টায় রত। কিন্তু নবুওয়াতের আলোক শিখা যে আলোক শিশুদের তৈরী করেছে, তারা জগৎ সহনশীলতা নিয়ে নীরবে আত্মরক্ষা করে চলছেএ ধরনের এক আলোক- শিশু হযরত সুহাইব (রাঃ) অত্যাচারের ষ্টিম রোলার চলছে তাঁর উপরচরম সহনশীলতার প্রতীক সুহাইব (রাঃ) সব অত্যাচার, সব নির্যাতন সয়ে যাচ্ছেন নীরবে। আল্লাহুর এ সৈনিকদের উপর এ অমানুষিক নির্যাতন কেমন করে কত দিন আর সয়ে যাবেন মহানবী (সাঃ)। তাঁর প্রাণ কেঁদে উঠল। সকলের মত সুহাইব (রাঃ) কেও মহানবী (সাঃ) একদিন মক্কা থেকে হিজরত করার নির্দেশ দিলেন। নির্দেশের সংগে সংগেই সুহাইব (রাঃ) সিদ্ধান্ত নিলেন, হিজরতের।

মহানবী (সাঃ) এর নির্দেশের কাছে, ইসলামের জন্য ত্যাগ স্বীকারের কাছে- জন্মস্থানের মায়া, স্বীয় সহায় সম্পদের মায়া মুহূর্তেই উবে গেল। কাউকে কিছু না বলে একদিন হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হলেন সুহাইব (রাঃ)। সাথে পরিধানের পোশাক টুকু ও আত্মরক্ষার জন্য কিছু অস্ত্র ছাড়া কিছুই নেই। সুহাইব (রাঃ) এর এ যাত্রা ধরা পড়ে গেল কুরাইশ চরদের চোখে। সংবাদ পেয়ে ছুটে এল একদল কুরাইশ। তারা সুহাইব (রাঃ) কে জোর করে ধরে নিয়ে যেতে চায় মক্কায়। সুহাইব (রাঃ) মক্কার বাইরে গিয়ে দল পাকাবে, মুসলমানদের দল ভারী করবে কুরাইশরা তা হতে দেবে কেন? কিন্তু সুহাইব (রাঃ) একাই রুখে দড়ালেন কুরাইশ দলটির বিরুদ্ধে। বললেন, “তোমার জন্য আমি, তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ তীরন্দাজ। আমার হাতে একটি তীর থাকা পর্যন্ত তোমরা কেউ আমাকে স্পর্শ করতে পারবে না। তীর ফুরিয়ে গেলে তরবারি আছে। তরবারি ভেঙে গেলে কিংবা হাত ছাড়া হলে তারপর তোমরা আমাকে যা খুশি করতে পার। এত কিছুর চেয়ে বরং ভালো, তোমরা মক্কায় আমার যা কিছু মাল-সম্পদ আছে সব নিয়ে নাও, আর আমি চলে যাই।’’ কুরাইশ দল অর্থের সন্ধান পেয়ে সুহাইবকে ধরার বিপদপূর্ণ ঝুকি না নেয়াই যুক্তিযুক্ত মনে করল। তারা পথ ধরল মক্কার আর সব বিসর্জন দিয়ে, মাতৃভূমির মায়া কাটিয়ে রিক্ত-নিঃস্ব অনিশ্চিতের পাড়ি জমালেন। 

এই ঘটনা সম্পর্কেই আল কুরাআন এর আয়াত নাজিল করলেন,

“এমন লোক আছে যারা আল্লাহুকে সন্তুষ্ট করার জন্য নিজের জীবনটাকে কিনে নেয়,আল্লাহ নিজের বান্দাদের উপর সর্বদাই দয়াশীল।”

হিজরতের পর মদীনার সন্নিকটবর্তী পল্লীতে নবী (সাঃ) এর সাথে সাক্ষাত ঘটল সুহাইব(রাঃ) এর। নবী তাঁকে কাছে ডেকে বললেন, “বড় লাভের ব্যবসাই করলে সুহাইব

সুহাইব (রাঃ) কে উঁচু মর্যাদা দিত সকলেই। হযরত উমার (রাঃ) তাঁর মুমূর্ষ অবস্থায় অছিয়ত করেছিলেন তাঁর জানাযার নামায যেন সুহাইব (রাঃ) এর দ্বারা পড়ান হয়

1 comment:

  1. Allah jeno amader manosikota amonn kore den je amra Allah r rasta e sob kisu biliye dite pari Allah r sontustir jonno ameen

    ReplyDelete