Sunday, July 28, 2013

নামায পড়ানোর লোক পাওয়া যাবে না

হযরত আবু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

“নিশ্চয়ই কেয়ামতের এটাও একটি নিদর্শন যে, মসজিদের লোকেরা (ইমামতি করার জন্যে) একে অপরকে ধাক্কাধাক্কি করবে। তারা নামাজ পড়ানোর লোক পাবে না”। (মিশকাত শরীফ)

এই হাদিসের মর্ম হলো, কেয়ামতের একটি লক্ষন হল, মসজিদে নামাজ পড়ার জন্যে অনেক লোক একত্রিত হবে। কিন্তু তাদের মধ্যে ইমামতি করার জন্য কেউ রাজি হবে না। যাকেই নামাজ পড়ানোর জন্যে অনুরোধ করা হবে সেই বলবে, আমি এর উপযুক্ত নই। অমুককে বলেন। বিভিন্ন অফিসে বা হঠাৎ বন্ধুমহলের অনেকে কোন অনুষ্ঠানে একত্রিত হবার পরে নামাজের সময় হলে (বিশেষ করে মাগরিব/এশা যেখানে তিলওয়াত জোরে) এই হাদিসটির সত্যতা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। 

আল্লামা তিবি (রহঃ) ও মোল্লা আলী ক্বারি (রহঃ) লিখেছেন, “এভাবে ঠেলাঠেলির কারণ হল, তাদের মধ্যে নামজের মাসায়েল সম্পর্কে অবগত এমন কোন লোকই আর পাওয়া যাবে না। এমনকি নামাজ ভঙ্গ হবার কারণ পর্যন্ত তাদের জানা থাকবে না”। তাদের এই বক্তব্যও পূর্ণ যথার্থ। আজকাল গ্রামাঞ্চলে দেখা যায়, মানুষ শুধু এই কারণে একা একা নামাজ পড়ে যে, তাদের মধ্যে নামাজের মাসায়ালা জানে এমন কোন লোক নেই।

No comments:

Post a Comment