একদম প্রাথমিক পর্যায়ে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছেন, হযরত খাব্বাব (রাঃ)
তাদের একজন। বোধে হয় ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে পাঁচ
ছয় জনের পরই তার স্থান হবে।
তিনি এক জন মহিলার ক্রীতদাস ছিলেন। মহিলাটি ছিল নিষ্ঠুরতার জ্বলন্ত
প্রতিমূর্তি। যখন সে জানতে পারল খাব্বাব ইসলাম গ্রহণ করেছেন, তখন তাঁর উপর
নির্মম অত্যাচার শুরু হলো। অধিকাংশ সময় তাঁকে নগ্নদেহে তপ্ত বালুর
উপর শুইয়ে রখা হতো। যার ফলে তার কোমরের গোশত গলে পড়ে গিয়েছিল। ঐ নিষ্ঠুর রমণী মাঝে মাঝে লোহা গরম করে তাঁর মাথায় দাগ দিত।
অনেক দিন পর হযরত উমার (রাঃ) এর রাজত্বকালে হযরত উমার (রাঃ) একদিন
তাঁর উপর নির্যাতনের বিস্তৃত বিবরণ জানতে চাইলেন। খাব্বাব (রাঃ) তখন বললেন, “আমার কোমর দেখুন।’’ হযরত উমার (রাঃ) কোমর দেখে আঁৎকে উঠে
বললেন, ‘‘এমন কোমর তো কথোও দেখিনি?’’ উত্তরে খাব্বাব (রাঃ) খলীফাকে জানালেন, ‘‘আমাকে
জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর শুইয়ে চেপে ধরে রাখা হতো, ফলে আমার চরবি ও রক্তে আগুন নিভে
যেত।’’
এ নির্মম শাস্তি ভোগ করা সত্ত্বেও ইসলামের যখন শক্তি বৃদ্ধি
হলো এবং মুসলমানদের বিজয় সূচিত হলো, তখন খাববার করে বলতেন, ‘‘আল্লাহ না করুন আমার কষ্টের পুরস্কার
দুনিয়াতে যেন লাভ না হয়।’’
হযরত খাব্বাব (রা) বলেন, "একদিন আমি দেখলাম, নবী করীম (সা) কা'বা ঘরের দেয়ালের ছায়ায় বসে আছেন। আমি উপস্থিত হয়ে আরয করলাম, 'ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি কি আমাদের জন্য দোয়া করবেন না?' এই কথা শুনামাত্র নবী করীম (সা) এর মুখমন্ডল আবেগে রক্ত বর্ণ ধারণ করলো। তিনি বললেন, তোমাদের পূর্বেকার ঈমানদারদের উপর তো এর চেয়েও অধিক কঠোর নির্যাতন চালানো হয়েছিল। তন্মধ্যে কোন কোন ঈমানদারকে ধরে এনে যমীনের গর্তে কোমর পরিমাণ গেড়ে দিয়ে তার মাথার উপর করাত চালিয়ে তাকে দ্বিখন্ডিত করা হতো। কারও গায়ের গোশত লোহার চিরুনী দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে ফেলা হতো। এইসব কিছুর মূল উদ্দেশ্য ছিল লোকদিগকে ঈমান থেকে ফিরিয়ে রাখা। আল্লাহর কসম ঈমানদারদের এই ত্যাগ ও সাধনা পূর্ণ হবেই। শেষ পর্যন্ত অবস্থা এমন হবে যে, এই ব্যক্তি সানয়া হতে হাদরামাওত পর্যন্ত নির্বিঘ্নে সফর করবে এবং এ সময় আল্লাহ ছাড়া আর কারও ভয় তাকে করতে হবে না। (সহিহ বুখারী )
হযরত খাব্বাব (রা) বলেন, "একদিন আমি দেখলাম, নবী করীম (সা) কা'বা ঘরের দেয়ালের ছায়ায় বসে আছেন। আমি উপস্থিত হয়ে আরয করলাম, 'ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি কি আমাদের জন্য দোয়া করবেন না?' এই কথা শুনামাত্র নবী করীম (সা) এর মুখমন্ডল আবেগে রক্ত বর্ণ ধারণ করলো। তিনি বললেন, তোমাদের পূর্বেকার ঈমানদারদের উপর তো এর চেয়েও অধিক কঠোর নির্যাতন চালানো হয়েছিল। তন্মধ্যে কোন কোন ঈমানদারকে ধরে এনে যমীনের গর্তে কোমর পরিমাণ গেড়ে দিয়ে তার মাথার উপর করাত চালিয়ে তাকে দ্বিখন্ডিত করা হতো। কারও গায়ের গোশত লোহার চিরুনী দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে ফেলা হতো। এইসব কিছুর মূল উদ্দেশ্য ছিল লোকদিগকে ঈমান থেকে ফিরিয়ে রাখা। আল্লাহর কসম ঈমানদারদের এই ত্যাগ ও সাধনা পূর্ণ হবেই। শেষ পর্যন্ত অবস্থা এমন হবে যে, এই ব্যক্তি সানয়া হতে হাদরামাওত পর্যন্ত নির্বিঘ্নে সফর করবে এবং এ সময় আল্লাহ ছাড়া আর কারও ভয় তাকে করতে হবে না। (সহিহ বুখারী )
মাত্র ৩৬ বছর বয়সে খাববারের মৃত্যু হয় এবং সাহাবাদের
মধ্যে সর্বপ্রথম তিনি কুবায় কবরস্থ হন। তাঁর মৃত্যুর পর হযরত আলী (রাঃ) একদিন তাঁর
কবরের পাশ দিয়ে যাবার সময় বলেছিলেন, ‘‘আল্লাহ খাব্বাবের উপর রহম করুন। তিনি নিজের খুশীতেই মুসলমান হয়েছিলেন। নিজ খুসিতেই হিজরাত করেছিলেন। তিনি সমস্ত জীবন
জিহাদে কাটিয়ে দিয়ে ছিলেন এবং অশেষ নির্যাতন ভোগ করে ছিলেন।’’
No comments:
Post a Comment