বর্তমানে খিলাফতের দাবীদার কালো পতাকাবাহীরা রোমান মহাজোটের নেতৃত্বদানকারী যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া কালো পতাকাবাহীরা এখন শুধু ইরাক ও সিরিয়ার জন্যই হুমকি নয়; বরং তাদের ক্রমবর্ধমান অগ্রযাত্রা দূরপ্রাচ্য ইউরোপ ছাড়িয়ে কানাডা পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেছে বলে মনে করা হচ্ছে। অপরদিকে কালো পতাকাবাহীদের দমনে শুধু সামরিক হামলা যে পর্যাপ্ত নয় অনেক ক্ষেত্রে তা প্রমাণিত সত্য। তাই এই কালো পতাকাবাহীদের দমনে তাদের মনস্তাত্ত্বিক আচরণ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দেশটির স্পেশাল অপারেশন ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল মিকায়েল কে. নাগাতাকে। তার প্রধান লক্ষ্য কালো পতাকাবাহীরা কিভাবে এতো বিপজ্জনক একটি শক্তিতে পরিণত হলো তা খুঁজে বের করা।
কালো পতাকাবাহীদের দমনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর- পেন্টাগন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা গোয়েন্দা এজেন্সিগুলো থেকে নতুন কোনো আইডিয়া আসছে না। এই হতাশা শুধু নাগাতার নয়; বরং একই মনোভাব ব্যক্ত করেছেন সরকারি অনেক কর্মকর্তাও। এমনকি একই দীর্ঘশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টাদেরও। কালো পতাকাবাহীদের দমনে এরই মধ্যে দেশটি শত শত কোটি ডলার ব্যয় করেছে। কয়েক মাস ধরে চালিয়ে যাচ্ছেকালো পতাকাবাহী বিরোধী বিমান হামলা। তবুও যেন তাদের সব পদক্ষেপই ব্যর্থ হচ্ছে। জেনারেল নাগাতা বলেন, আমরা তাদের কার্যক্রম বুঝতে পারছি না। আর যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদের না বুঝবো, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের পরাজিত করতে পারব না। নাগাতা চার মাস ধরে সামরিক বলয়ের বাইরে থেকে কালো পতাকাবাহীদের শক্তির উৎস খুঁজছেন। এ সময় তিনি সহযোগিতা নিয়েছেন বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপকসহ বেসামরিক বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের। তিনি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন, কিভাবে কালো পতাকাবাহীরা একটি অঞ্চলের জনগণের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা শুধু কালো পতাকাবাহী যোদ্ধাদের সংখ্যা বা অস্ত্রের ক্ষমতার ওপরই নির্ভর করে না। কিন্তু তা কিসের ওপর নির্ভর করে, তা খুঁজে পেতে তিনি তাদের মনস্তাত্ত্বিক কৌশল; যেমন- জনগণ, ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা, অর্থনীতি ইত্যাদি বিশ্লেষণের চেষ্টা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের কিছু সামরিক কর্মকর্তার সম্মেলনের সারাংশ জনসম্মুখে আসার পর আইএস নিয়ে তাদের এমন দুশ্চিন্তার খবর প্রথমবারের মতো প্রকাশ পেয়েছে। ওই সারাংশ থেকে আরো জানা গেছে, সামরিক বিশেষজ্ঞরাকালো পতাকাবাহীদের নিয়ে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন। তাদের কোন্দলের বিষয়বস্তুকালো পতাকাবাহীদের মূল লক্ষ্য কী, তা নিয়ে। একদল বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য- আদর্শিক, কিন্তু বাকিরা বলছেন, ভৌগোলিক। জেনারেল নাগাতা এই মতবিরোধকে আরো উস্কে দিচ্ছেন; এই বিতর্ক নিয়ে তারা যেন সর্বোচ্চ মনোযোগ দেয়, তিনি তার তাগিদ দেন। তিনি জানান, এমন বিতর্ক থেকেই বোঝা যায়, কালো পতাকাবাহীদেরকে বোঝা কত কঠিন একটি কাজ। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির সাবেক প্রধান এবং তিন তারকাপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মিকাইল টি. ফ্লিনও একই রকম প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। বিভিন্ন ব্যবসায়ী, শিক্ষক এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে করা তার ওই প্রতিবেদন চলতি মাসে প্রকাশ পাওয়ার কথা রয়েছে।
ওবামার সন্ত্রাসবাদবিরোধী ও স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা উপদেষ্টা লিসা মোনাকো বলেন, এখন সউদি আরব, জর্ডান, লেবানন এবং লিবিয়ায় শাখা বিস্তার করতে চাইছে কালো পতাকাবাহীরা। এটা খুব বড় উদ্বেগের বিষয়। প্রতিমাসে প্রায় এক হাজার বিদেশি যোদ্ধা ইরাক ও সিরিয়ায় প্রবেশ করে, যাদের বেশির ভাগেরই উদ্দেশ্য কালো পতাকাবাহীদের সাথে যোগ দেয়া। সিআইএ ডিরেক্টর জন ও’ব্রেনান বলেন, অনেক দেশের আদর্শিক দুর্বলতার সুযোগে কালো পতাকাবাহীদের আদর্শ শক্তিশালী হচ্ছে। তাদের এই কার্যক্রমকে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। উল্লেখ্য, জেনারেল নাগাতা ৩২ বছর সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সেনেগাল, বলকান উপদ্বীপ ও ইরাকে কাজ করেছেন।
নাগাতা সম্পর্কে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল স্ট্যানলি ম্যাকক্রিস্টাল বলেন, তিনি অসম্ভব চাপের মধ্যে কাজ করতে ভালোবাসেন। গত বছর জুলাই মাসেই কালো পতাকাবাহীদের ওপর গবেষণার জন্য নাগাতা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে নতুন একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, কোন্ কারণেকালো পতাকাবাহীরা খুব আকর্ষণীয়? যে আকর্ষণের কারণে সেখানকার মুসলিমরা বিশেষ করে যুবকরা কালো পতাকাবাহীদের সাথে যোগ দিচ্ছে? আর এই আকর্ষণের জোরেই তাদের এই সুবিশাল অর্থ ও অস্ত্র ভান্ডার। তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয়, কালো পতাকাবাহীদের সাংস্কৃতিক ও মনস্তাত্ত্বিক শক্তি আমি অনুধাবন করতে পারব।
আমরা যারা এই উম্মতের তথা মুসলিম বিশ্বের চলমান ঘটনাবলী খুব সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছি এবং "২০১৪ থেকে ২০১৮ থেকে ২০২১ থেকে ২০২৫" টাইম লাইন পার করছি, নিঃসন্দেহে কালো পতাকাবাহীদের মনস্তত্ত্বের সন্ধানে রোমান মহাজোটের নেতৃত্বদানকারী যুক্তরাষ্ট্রের এই তৎপরতা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
কারণ, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ থেকে বলেন, একদা আমরা নবী করীম সাঃ এর খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উনি বলতে ছিলেনঃ
"ঐ দিক থেকে একটি দল আসবে, হাত দিয়ে তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করলেন - তারা কালো পতাকাবাহী হবে। তারা পূর্ণ ইসলামী শাসনের (খিলাফতের) দাবী জানাবে। কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হবে না। দুই বার বা তিনবার এভাবে দাবী জানাবে। কিন্তু তখনকার শাসকগণ তা গ্রহণ করবে না। অতঃপর তারা (কালো পতাকাবাহীরা) যুদ্ধ করে জয়ী হবে এবং তাদেরকে শাসনভার প্রদান করা হবে। কিন্তু তারা (কালো পতাকাবাহীরা) তা গ্রহণ করবে না। শেষপর্যন্ত তারা (কালো পতাকাবাহীরা) ইসলামী শাসন ব্যবস্থার (খিলাফতের) দায়িত্ব আমার পরিবারস্থ একজন লোকের (ইমাম মাহদির) হাতে সোপর্দ করে দিবে। সে জমিনকে ন্যায় এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে ভরে দিবে, ঠিক যেমন ইতিপূর্বে অন্যায় অত্যাচারের মাধ্যমে ভরে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যদি কেউ ঐ সময় জীবিত থাকো, তবে অবশ্যই তাদের দলে এসে শরীক হয়ে যেও – যদিও বরফের উপর কনুইয়ে ভর দিয়ে আসতে হয় "।
(আবু আমর উদ্দানীঃ ৫৪৭, মুহাক্কিক আবু আব্দুল্লাহ সাফেঈ হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন)
হেজাজ বা মক্কা মদিনার 'পূর্ব দিক' বলতে ইরাক থেকে খোরাসান বা আফগানিস্তানকে বুঝায়।
কালো পতাকাবাহীদের দমনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর- পেন্টাগন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা গোয়েন্দা এজেন্সিগুলো থেকে নতুন কোনো আইডিয়া আসছে না। এই হতাশা শুধু নাগাতার নয়; বরং একই মনোভাব ব্যক্ত করেছেন সরকারি অনেক কর্মকর্তাও। এমনকি একই দীর্ঘশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টাদেরও। কালো পতাকাবাহীদের দমনে এরই মধ্যে দেশটি শত শত কোটি ডলার ব্যয় করেছে। কয়েক মাস ধরে চালিয়ে যাচ্ছেকালো পতাকাবাহী বিরোধী বিমান হামলা। তবুও যেন তাদের সব পদক্ষেপই ব্যর্থ হচ্ছে। জেনারেল নাগাতা বলেন, আমরা তাদের কার্যক্রম বুঝতে পারছি না। আর যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদের না বুঝবো, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের পরাজিত করতে পারব না। নাগাতা চার মাস ধরে সামরিক বলয়ের বাইরে থেকে কালো পতাকাবাহীদের শক্তির উৎস খুঁজছেন। এ সময় তিনি সহযোগিতা নিয়েছেন বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপকসহ বেসামরিক বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের। তিনি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন, কিভাবে কালো পতাকাবাহীরা একটি অঞ্চলের জনগণের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা শুধু কালো পতাকাবাহী যোদ্ধাদের সংখ্যা বা অস্ত্রের ক্ষমতার ওপরই নির্ভর করে না। কিন্তু তা কিসের ওপর নির্ভর করে, তা খুঁজে পেতে তিনি তাদের মনস্তাত্ত্বিক কৌশল; যেমন- জনগণ, ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা, অর্থনীতি ইত্যাদি বিশ্লেষণের চেষ্টা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের কিছু সামরিক কর্মকর্তার সম্মেলনের সারাংশ জনসম্মুখে আসার পর আইএস নিয়ে তাদের এমন দুশ্চিন্তার খবর প্রথমবারের মতো প্রকাশ পেয়েছে। ওই সারাংশ থেকে আরো জানা গেছে, সামরিক বিশেষজ্ঞরাকালো পতাকাবাহীদের নিয়ে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন। তাদের কোন্দলের বিষয়বস্তুকালো পতাকাবাহীদের মূল লক্ষ্য কী, তা নিয়ে। একদল বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য- আদর্শিক, কিন্তু বাকিরা বলছেন, ভৌগোলিক। জেনারেল নাগাতা এই মতবিরোধকে আরো উস্কে দিচ্ছেন; এই বিতর্ক নিয়ে তারা যেন সর্বোচ্চ মনোযোগ দেয়, তিনি তার তাগিদ দেন। তিনি জানান, এমন বিতর্ক থেকেই বোঝা যায়, কালো পতাকাবাহীদেরকে বোঝা কত কঠিন একটি কাজ। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির সাবেক প্রধান এবং তিন তারকাপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মিকাইল টি. ফ্লিনও একই রকম প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। বিভিন্ন ব্যবসায়ী, শিক্ষক এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে করা তার ওই প্রতিবেদন চলতি মাসে প্রকাশ পাওয়ার কথা রয়েছে।
ওবামার সন্ত্রাসবাদবিরোধী ও স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা উপদেষ্টা লিসা মোনাকো বলেন, এখন সউদি আরব, জর্ডান, লেবানন এবং লিবিয়ায় শাখা বিস্তার করতে চাইছে কালো পতাকাবাহীরা। এটা খুব বড় উদ্বেগের বিষয়। প্রতিমাসে প্রায় এক হাজার বিদেশি যোদ্ধা ইরাক ও সিরিয়ায় প্রবেশ করে, যাদের বেশির ভাগেরই উদ্দেশ্য কালো পতাকাবাহীদের সাথে যোগ দেয়া। সিআইএ ডিরেক্টর জন ও’ব্রেনান বলেন, অনেক দেশের আদর্শিক দুর্বলতার সুযোগে কালো পতাকাবাহীদের আদর্শ শক্তিশালী হচ্ছে। তাদের এই কার্যক্রমকে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। উল্লেখ্য, জেনারেল নাগাতা ৩২ বছর সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সেনেগাল, বলকান উপদ্বীপ ও ইরাকে কাজ করেছেন।
নাগাতা সম্পর্কে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল স্ট্যানলি ম্যাকক্রিস্টাল বলেন, তিনি অসম্ভব চাপের মধ্যে কাজ করতে ভালোবাসেন। গত বছর জুলাই মাসেই কালো পতাকাবাহীদের ওপর গবেষণার জন্য নাগাতা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে নতুন একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, কোন্ কারণেকালো পতাকাবাহীরা খুব আকর্ষণীয়? যে আকর্ষণের কারণে সেখানকার মুসলিমরা বিশেষ করে যুবকরা কালো পতাকাবাহীদের সাথে যোগ দিচ্ছে? আর এই আকর্ষণের জোরেই তাদের এই সুবিশাল অর্থ ও অস্ত্র ভান্ডার। তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয়, কালো পতাকাবাহীদের সাংস্কৃতিক ও মনস্তাত্ত্বিক শক্তি আমি অনুধাবন করতে পারব।
আমরা যারা এই উম্মতের তথা মুসলিম বিশ্বের চলমান ঘটনাবলী খুব সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছি এবং "২০১৪ থেকে ২০১৮ থেকে ২০২১ থেকে ২০২৫" টাইম লাইন পার করছি, নিঃসন্দেহে কালো পতাকাবাহীদের মনস্তত্ত্বের সন্ধানে রোমান মহাজোটের নেতৃত্বদানকারী যুক্তরাষ্ট্রের এই তৎপরতা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
কারণ, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ থেকে বলেন, একদা আমরা নবী করীম সাঃ এর খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উনি বলতে ছিলেনঃ
"ঐ দিক থেকে একটি দল আসবে, হাত দিয়ে তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করলেন - তারা কালো পতাকাবাহী হবে। তারা পূর্ণ ইসলামী শাসনের (খিলাফতের) দাবী জানাবে। কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হবে না। দুই বার বা তিনবার এভাবে দাবী জানাবে। কিন্তু তখনকার শাসকগণ তা গ্রহণ করবে না। অতঃপর তারা (কালো পতাকাবাহীরা) যুদ্ধ করে জয়ী হবে এবং তাদেরকে শাসনভার প্রদান করা হবে। কিন্তু তারা (কালো পতাকাবাহীরা) তা গ্রহণ করবে না। শেষপর্যন্ত তারা (কালো পতাকাবাহীরা) ইসলামী শাসন ব্যবস্থার (খিলাফতের) দায়িত্ব আমার পরিবারস্থ একজন লোকের (ইমাম মাহদির) হাতে সোপর্দ করে দিবে। সে জমিনকে ন্যায় এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে ভরে দিবে, ঠিক যেমন ইতিপূর্বে অন্যায় অত্যাচারের মাধ্যমে ভরে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যদি কেউ ঐ সময় জীবিত থাকো, তবে অবশ্যই তাদের দলে এসে শরীক হয়ে যেও – যদিও বরফের উপর কনুইয়ে ভর দিয়ে আসতে হয় "।
(আবু আমর উদ্দানীঃ ৫৪৭, মুহাক্কিক আবু আব্দুল্লাহ সাফেঈ হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন)
হেজাজ বা মক্কা মদিনার 'পূর্ব দিক' বলতে ইরাক থেকে খোরাসান বা আফগানিস্তানকে বুঝায়।
No comments:
Post a Comment