Wednesday, July 30, 2014

একটি তত্ত্বঃ শান্তির ইসলাম - জঙ্গি ইসলাম; শান্তিপ্রিয় মুসলিম - জঙ্গি মুসলিম

মুসলিম সমাজকে বিভক্ত করার জন্য এবং ইসলামী ভ্রাতৃত্বের চেতনা বিলুপ্ত করার জন্য কত তত্ত্ব ও দর্শন যে প্রস্ত্তত ও প্রচারিত হচ্ছে তার হিসেব নেই। যেমন একটি তত্ত্ব : শান্তির ইসলাম-জঙ্গি ইসলাম; শান্তিপ্রিয় মুসলিম-জঙ্গি মুসলিম।

এই তত্ত্বের উদ্দেশ্য, ইসলামের জিহাদ ও নাহি আনিল মুনকারের বিধান অস্বীকার করা এবং এ বিধান সম্পর্কে মুসলিম-সমাজে নিস্পৃহতা ও নেতিবাচক মানসিকতা তৈরি করা। তেমনি বিশ্বব্যাপী মুসলিম ভূ-খন্ডগুলোতে কাফির-মুশরিকদের সশস্ত্র আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জিহাদরত মুজাহিদদের এবং সংস্কৃতির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নাহি আনিল মুনকারে লিপ্ত প্রতিরোধ-সংগ্রামীদের দস্যু হিসেবে তুলে ধরা। আর সরলপ্রাণ মুসলিমদের এ ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা যে, এ আসলে ইসলাম নয়, ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ। ইসলাম তো শান্তির ধর্ম। ইসলাম কি এমন হানাহানি ও বিশৃঙ্খলার অনুমতি দিতে পারে? অথচ চিন্তাশীল মানুষমাত্রই বোঝেন, শান্তির জন্যই শাসনেরও প্রয়োজন। 

যে সকল দুর্বৃত্ত সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে তাদের দমন করার বিধান যদি কোনো ব্যবস্থায় না থাকে তাহলে ঐ ব্যবস্থাকে পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা বলা যায় না। ইসলাম যেহেতু পূর্ণাঙ্গ দ্বীন তাই এতে যেমন আছে শিষ্টের লালনের বিধান, তেমনি আছে দুষ্টের দমনের ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থার নামই নাহি আনিল মুনকার, যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ জিহাদ। সুতরাং অবশ্যই ইসলাম শান্তির ধর্ম। তবে ইসলামের সাফল্য ও সৌন্দর্য এই যে, খন্ডিত বা নীতিবাক্যসর্বস্ব শান্তি নয়, ইসলাম পূর্ণাঙ্গ ও প্রায়োগিক অর্থেই শান্তির ধর্ম।

তো ইসলাম ও মুসলমানদের জঙ্গিশান্তিপ্রিয় এই দুইভাগে ভাগ করার উদ্দেশ্য, মুসলিম সমাজের ঐক্য বিনষ্ট করা, পরস্পরের ভ্রাতৃত্ববোধ এবং ন্যায় ও কল্যাণের বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার চেতনা বিলুপ্ত করা। 

আর বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের একটি শ্রেণিকে জালিমের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে উৎসাহ দেয়া এবং মাজলুম মুসলমানদের বিষয়ে অন্যান্য মুসলিমদের এই যুক্তিতে নিস্পৃহ ও নির্লিপ্ত রাখা যে, ওরা তো জঙ্গি, ওদের তো মেরে ফেলাই ভালো। (নাউযুবিল্লাহ)

No comments:

Post a Comment