মার্কিন তৈরি পোশাক কোম্পানি আমেরিকান অ্যাপারেলস-এর একটি বিজ্ঞাপন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ছবির অর্ধনগ্ন নারীটির উন্মুক্ত বক্ষের ওপর ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ কথাটির নানা রকম অর্থ করা যেতে পারে।
এ বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে প্রথমে স্বয়ং মডেলের ভাষ্যটিই শোনা যাক। তিনি বলছেন, তিনি কিনা জাতিসত্তায় বা ধর্মে বিশ্বাসী নন। কিন্তু একইসঙ্গে বলছেন তিনি কোনো জাতিসত্তা বা ধর্মের বিদ্বেষীও নন। তিনি বোঝাতে চাইছেন- কোনো জাতি বা ধর্মকে আঘাত করতে চাননি। বরং যা বোঝাতে চেয়েছেন তা হলো- প্রত্যেক নারীকেই, আরও ব্যাপক অর্থে: মানুষকেই- কোনো সামাজিক ধরাবাঁধা নিয়মে, রীতিতে, প্রথায় বেঁধে ফেলা যাবে না- যে নিয়ম রীতি বা প্রথা ঠিক করে দেবে সে কী পরবে কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবে বা কী বলবে।
তার এ কথাকে ব্যাপক অর্থে নিলে তেমন কোনো সমস্যা দেখা দিতো না হয়তো- কিন্তু সমস্যা তখনই দেখা দিচ্ছে- যখন এখানে পরস্পরবিরোধী কিছুর আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
মাত্র চার বছর বয়সে বাবা-মার সঙ্গে ঢাকা থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমানো এ নারী নিজেই স্বীকার করেছেন- আমেরিকান বা বাংলাদেশি কোনো পরিচয়ই তিনি বহন করতে চান না- সেক্ষেত্রে তার আচরণে শেষতক বৈশ্বিকতার ছোঁয়া পাওয়া গেল কোথায়- যখন তার নগ্ন বুকের ওপর ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লিখতেই হলো? শেষতক তৈরিস্বত্ব বুঝি তাকে বাংলাদেশকেই দিতে হলো। তাহলে শেষপর্যন্ত তার কোনভাবেই; কোনো জাতিরই না হওয়ার ছদ্মগৌরবটি কোথায় গিয়ে দাঁড়ালো?
সম্প্রতি দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার করা এ বিজ্ঞাপনের বক্তব্য ও উপস্থাপনের সঙ্গে তিনি পরিপূর্ণভাবে একমত। সেই সঙ্গে এ ছবিটি তোলার সময় তিনি খুবই ভালো বোধ করেছেন।
আসলে- এ মিডিয়া-উল্লেখিত ‘মুসলিম’ মডেল মাক্স (হয়ত তার নাম মাকসুদা ধরনের কিছুই হয়ে থাকবে- যদি হয়ে থাকে তো পরিবেশে প্রভাবিত হয়ে এমন বিকৃত বদল তার চিন্তার আরেকটি দীনতা অথবা বৈপরীত্য) যুক্তরাষ্ট্রের ওই তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানকর্তৃক স্রেফ ব্যবহৃত হয়েছেন- কিন্তু তিনি মোটেই তা বুঝতে পারছেন না। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানটির নুন খাচ্ছেন বিধায় গুণ গাইছেন- তা তিনি গাইতে পারেন, কিন্তু জন্মস্থানের পিঠে এমন ছুরি মেরে কেন? কিছু বড় বড় কথা আওড়ে তিনি উৎরে যেতে পারলেন না যখন তার শরীরের স্বত্ব শেষতক জন্মস্থান বাংলাদেশকেই দিতে হলো। জন্মস্থানের পিঠে বিঁধিয়ে দেয়ার জন্য এ ছুরিটি তার হাতে ধরিয়ে দিয়েছে কারা? যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিষ্ঠানটিই- যার নাম অ্যামেরিকান অ্যাপারেলস, যা মূলত কিছু অসুস্থ উপায়ে নিজেদের প্রচারিত করে আলোচনায় আসতে চাইছে এবং সফলও হচ্ছে। সফল না হলে তারা বিতর্কিত উপায়গুলো ব্যবহারই করতো না। তবে এক্ষেত্রেও তারা জাতে মাতাল তালে ঠিক।
মনে হয় না- কোনো চীনা কর্মীকে কাজ দিয়ে- অতঃপর এভাবে ‘মেইড ইন চায়না’ লিখে বিজ্ঞাপন দেয়ার সাহস দেখাতে পারবে ওই কোম্পানিটি। কেননা মুক্তবাজার অর্থনীতির দৈত্যরূপে আত্মপ্রকাশ করা চীন আজকাল বড় শক্ত প্রতিপক্ষ। কিন্তু তৈরি পোশাক শিল্পে চীনের পরেই যার অবস্থান সেই বাংলাদেশ কিন্তু শিল্প-প্রতিপক্ষ হিসেবে অথবা মিডিয়া-প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্ত নয়। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পে ‘হাতি’ হতে পারে- কিন্তু হাতিটি অন্ধ। এমন অন্ধ হাতিকে মেরে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ধান্দা কেনই বা করবে না কোনো ধূর্ত শিকারি? মিডিয়ায় একটা আলোড়ন তুলে দেশটাকে খেলো হিসেবে আলোচনায় এনে সাধারণ ক্রেতাদের আকর্ষণ নষ্ট করে (যা কিনা আমদানিকারক পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে) সেই সঙ্গে লোক হাসিয়ে ছদ্ম বিনোদন তৈরি করে বাজার নষ্ট করার এটা একটা পুরনো, বহুল ব্যবহৃত এবং নিন্দিত মার্কেটিং পলিসি। আর তাতে ব্যবহৃত হলো কিনা বাংলাদেশেই জন্ম নেয়া এমন এক ভ্রষ্ট তরুণী।
হ্যাঁ বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকরা তাদের হিসাবে ঘণ্টায় ৩০ সেন্ট পায়, যেখানে তারা দিয়ে থাকে ঘণ্টায় ১২-১৪ ডলার। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মর্মন্তুদ ঘটনাগুলো- সবচেয়ে বড় দুটি প্রসঙ্গ রানাপ্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনস- ও তার পরের প্রতিক্রিয়াগুলো বাংলাদেশকে কি ইতোমধ্যেই পোশাকখাতে অনেকখানি ধসিয়ে দেয়নি? বাংলাদেশে গরীব তরুণ তরুণীরা, বিশেষত তরুণীরা একদিকে সবচেয়ে কম পয়সায়- সবচেয়ে বেশি খেটে- মুনাফা তুলে দিচ্ছে বিদেশি মালিকপক্ষের হাতে (এ কথা ওপেন সিক্রেট যে গার্মেন্ট মালিকদের শতকরা ৬০ জনেরও অধিক এ মুহূর্তে ভারতীয় এবং অকল্পনীয় পরিমাণ শুল্ক ফাঁকি দিয়ে তারা লভ্যাংশ পাঠিয়ে দিচ্ছে নিজ দেশে) অপরদিকে ভিনদেশের দেদার মূলধন তৈরির পথ করছে পরিষ্কার। সস্তাশ্রম পেয়ে ব্যবসা বাড়াতে ‘হে মালিক লাগাও আরও শ্রমিক- মূলধন স্থির সুতরাং পড়ুক টান বেতনে- লাগুক দ্বন্দ্ব- যাক বাজার অন্যের হাতে’ এইতো চলছে।
হ্যাঁ আমাদের অবস্থা ওই পুরুষ্ট অথচ অনাবৃত একজোড়া স্তনের মতই তো! দর্শককে দাও দৃষ্টিসুখ স্পর্শসুখ- আর দর্শকরাও চায় ওগুলো অনাবৃতই থাকুক- এই তো।
আরেকটা ব্যাপার- ‘নায়ক’ হতে হলে বিপরীতে একটা ‘জুজু’ চাই। জুজু তাড়ালে তবেই নায়ক মহীয়ান। এই মেয়েটির ছবি সাক্ষাৎকার বিভিন্ন মিডিয়ায় আসছে এবং শুরু হতে চলেছে আরেক ধরনের পরোক্ষ জুজু-ব্যবসা। মেয়েটিকে চিহ্নিত করতে বহুবার উচ্চকণ্ঠে বলা হচ্ছে ‘মুসলিম’ শব্দটি, অথচ এ মেয়েটি প্রকৃতপক্ষে আদৌ তা নয় আর। এটা শব্দসন্ত্রাস। এটা দেখা যায় মার্কিন, ইঙ্গো, ফরাসিসহ (উদাহরণ: বিশেষায়িত ‘মুসলিম স্কার্ফ’ শব্দটির ব্যবহার- অথচ যেখানে চার্চের নারীরাও অবগুণ্ঠিতা থাকে) সব ক্রমঃপশ্চিমা মুল্লুকে। এ শব্দসন্ত্রাস দ্বিগুণ উসকে দিতে পারে অাভ্যন্তরীণ মৌলবাদী দ্বন্দ্বযুদ্ধ- দিনের শেষে যার ফায়দাটুকুও লুটে নেয় ওরাই। আর মাক্সের মতো বোকারা না বুঝেই বলতে থাকে তাদের পক্ষে বড় বড় কথা, স্থান-কাল-পাত্র না বুঝেই, প্রচার লুটে নেয়, টাকা লুটে নেয়, আর ভাবে- আহা, মুই কী হনুরে…।
এ বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে প্রথমে স্বয়ং মডেলের ভাষ্যটিই শোনা যাক। তিনি বলছেন, তিনি কিনা জাতিসত্তায় বা ধর্মে বিশ্বাসী নন। কিন্তু একইসঙ্গে বলছেন তিনি কোনো জাতিসত্তা বা ধর্মের বিদ্বেষীও নন। তিনি বোঝাতে চাইছেন- কোনো জাতি বা ধর্মকে আঘাত করতে চাননি। বরং যা বোঝাতে চেয়েছেন তা হলো- প্রত্যেক নারীকেই, আরও ব্যাপক অর্থে: মানুষকেই- কোনো সামাজিক ধরাবাঁধা নিয়মে, রীতিতে, প্রথায় বেঁধে ফেলা যাবে না- যে নিয়ম রীতি বা প্রথা ঠিক করে দেবে সে কী পরবে কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবে বা কী বলবে।
তার এ কথাকে ব্যাপক অর্থে নিলে তেমন কোনো সমস্যা দেখা দিতো না হয়তো- কিন্তু সমস্যা তখনই দেখা দিচ্ছে- যখন এখানে পরস্পরবিরোধী কিছুর আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
মাত্র চার বছর বয়সে বাবা-মার সঙ্গে ঢাকা থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমানো এ নারী নিজেই স্বীকার করেছেন- আমেরিকান বা বাংলাদেশি কোনো পরিচয়ই তিনি বহন করতে চান না- সেক্ষেত্রে তার আচরণে শেষতক বৈশ্বিকতার ছোঁয়া পাওয়া গেল কোথায়- যখন তার নগ্ন বুকের ওপর ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লিখতেই হলো? শেষতক তৈরিস্বত্ব বুঝি তাকে বাংলাদেশকেই দিতে হলো। তাহলে শেষপর্যন্ত তার কোনভাবেই; কোনো জাতিরই না হওয়ার ছদ্মগৌরবটি কোথায় গিয়ে দাঁড়ালো?
সম্প্রতি দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার করা এ বিজ্ঞাপনের বক্তব্য ও উপস্থাপনের সঙ্গে তিনি পরিপূর্ণভাবে একমত। সেই সঙ্গে এ ছবিটি তোলার সময় তিনি খুবই ভালো বোধ করেছেন।
আসলে- এ মিডিয়া-উল্লেখিত ‘মুসলিম’ মডেল মাক্স (হয়ত তার নাম মাকসুদা ধরনের কিছুই হয়ে থাকবে- যদি হয়ে থাকে তো পরিবেশে প্রভাবিত হয়ে এমন বিকৃত বদল তার চিন্তার আরেকটি দীনতা অথবা বৈপরীত্য) যুক্তরাষ্ট্রের ওই তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানকর্তৃক স্রেফ ব্যবহৃত হয়েছেন- কিন্তু তিনি মোটেই তা বুঝতে পারছেন না। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানটির নুন খাচ্ছেন বিধায় গুণ গাইছেন- তা তিনি গাইতে পারেন, কিন্তু জন্মস্থানের পিঠে এমন ছুরি মেরে কেন? কিছু বড় বড় কথা আওড়ে তিনি উৎরে যেতে পারলেন না যখন তার শরীরের স্বত্ব শেষতক জন্মস্থান বাংলাদেশকেই দিতে হলো। জন্মস্থানের পিঠে বিঁধিয়ে দেয়ার জন্য এ ছুরিটি তার হাতে ধরিয়ে দিয়েছে কারা? যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিষ্ঠানটিই- যার নাম অ্যামেরিকান অ্যাপারেলস, যা মূলত কিছু অসুস্থ উপায়ে নিজেদের প্রচারিত করে আলোচনায় আসতে চাইছে এবং সফলও হচ্ছে। সফল না হলে তারা বিতর্কিত উপায়গুলো ব্যবহারই করতো না। তবে এক্ষেত্রেও তারা জাতে মাতাল তালে ঠিক।
মনে হয় না- কোনো চীনা কর্মীকে কাজ দিয়ে- অতঃপর এভাবে ‘মেইড ইন চায়না’ লিখে বিজ্ঞাপন দেয়ার সাহস দেখাতে পারবে ওই কোম্পানিটি। কেননা মুক্তবাজার অর্থনীতির দৈত্যরূপে আত্মপ্রকাশ করা চীন আজকাল বড় শক্ত প্রতিপক্ষ। কিন্তু তৈরি পোশাক শিল্পে চীনের পরেই যার অবস্থান সেই বাংলাদেশ কিন্তু শিল্প-প্রতিপক্ষ হিসেবে অথবা মিডিয়া-প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্ত নয়। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পে ‘হাতি’ হতে পারে- কিন্তু হাতিটি অন্ধ। এমন অন্ধ হাতিকে মেরে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ধান্দা কেনই বা করবে না কোনো ধূর্ত শিকারি? মিডিয়ায় একটা আলোড়ন তুলে দেশটাকে খেলো হিসেবে আলোচনায় এনে সাধারণ ক্রেতাদের আকর্ষণ নষ্ট করে (যা কিনা আমদানিকারক পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে) সেই সঙ্গে লোক হাসিয়ে ছদ্ম বিনোদন তৈরি করে বাজার নষ্ট করার এটা একটা পুরনো, বহুল ব্যবহৃত এবং নিন্দিত মার্কেটিং পলিসি। আর তাতে ব্যবহৃত হলো কিনা বাংলাদেশেই জন্ম নেয়া এমন এক ভ্রষ্ট তরুণী।
হ্যাঁ বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকরা তাদের হিসাবে ঘণ্টায় ৩০ সেন্ট পায়, যেখানে তারা দিয়ে থাকে ঘণ্টায় ১২-১৪ ডলার। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মর্মন্তুদ ঘটনাগুলো- সবচেয়ে বড় দুটি প্রসঙ্গ রানাপ্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনস- ও তার পরের প্রতিক্রিয়াগুলো বাংলাদেশকে কি ইতোমধ্যেই পোশাকখাতে অনেকখানি ধসিয়ে দেয়নি? বাংলাদেশে গরীব তরুণ তরুণীরা, বিশেষত তরুণীরা একদিকে সবচেয়ে কম পয়সায়- সবচেয়ে বেশি খেটে- মুনাফা তুলে দিচ্ছে বিদেশি মালিকপক্ষের হাতে (এ কথা ওপেন সিক্রেট যে গার্মেন্ট মালিকদের শতকরা ৬০ জনেরও অধিক এ মুহূর্তে ভারতীয় এবং অকল্পনীয় পরিমাণ শুল্ক ফাঁকি দিয়ে তারা লভ্যাংশ পাঠিয়ে দিচ্ছে নিজ দেশে) অপরদিকে ভিনদেশের দেদার মূলধন তৈরির পথ করছে পরিষ্কার। সস্তাশ্রম পেয়ে ব্যবসা বাড়াতে ‘হে মালিক লাগাও আরও শ্রমিক- মূলধন স্থির সুতরাং পড়ুক টান বেতনে- লাগুক দ্বন্দ্ব- যাক বাজার অন্যের হাতে’ এইতো চলছে।
হ্যাঁ আমাদের অবস্থা ওই পুরুষ্ট অথচ অনাবৃত একজোড়া স্তনের মতই তো! দর্শককে দাও দৃষ্টিসুখ স্পর্শসুখ- আর দর্শকরাও চায় ওগুলো অনাবৃতই থাকুক- এই তো।
আরেকটা ব্যাপার- ‘নায়ক’ হতে হলে বিপরীতে একটা ‘জুজু’ চাই। জুজু তাড়ালে তবেই নায়ক মহীয়ান। এই মেয়েটির ছবি সাক্ষাৎকার বিভিন্ন মিডিয়ায় আসছে এবং শুরু হতে চলেছে আরেক ধরনের পরোক্ষ জুজু-ব্যবসা। মেয়েটিকে চিহ্নিত করতে বহুবার উচ্চকণ্ঠে বলা হচ্ছে ‘মুসলিম’ শব্দটি, অথচ এ মেয়েটি প্রকৃতপক্ষে আদৌ তা নয় আর। এটা শব্দসন্ত্রাস। এটা দেখা যায় মার্কিন, ইঙ্গো, ফরাসিসহ (উদাহরণ: বিশেষায়িত ‘মুসলিম স্কার্ফ’ শব্দটির ব্যবহার- অথচ যেখানে চার্চের নারীরাও অবগুণ্ঠিতা থাকে) সব ক্রমঃপশ্চিমা মুল্লুকে। এ শব্দসন্ত্রাস দ্বিগুণ উসকে দিতে পারে অাভ্যন্তরীণ মৌলবাদী দ্বন্দ্বযুদ্ধ- দিনের শেষে যার ফায়দাটুকুও লুটে নেয় ওরাই। আর মাক্সের মতো বোকারা না বুঝেই বলতে থাকে তাদের পক্ষে বড় বড় কথা, স্থান-কাল-পাত্র না বুঝেই, প্রচার লুটে নেয়, টাকা লুটে নেয়, আর ভাবে- আহা, মুই কী হনুরে…।
No comments:
Post a Comment