Monday, March 24, 2014

২০১৪ঃ সিরিয়া থেকে লেবানন

২০১১ সালে শুরু হওয়া বনু কাল্ব গোত্রের অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া সিরিয়ার বর্তমান যুদ্ধ এখন ধীরে ধীরে লেবাননে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই সেখানে বিভিন্ন শহরে সংঘাতের খবর আসছে আল জাজিরাসহ নানা আরব মিডিয়াতে।

গুগল এ syria war effect on lebanon লিখে সার্চ দিলে অনেক আর্টিকেল ও সংবাদ পাওয়া যাবে এই সম্পর্কে।

যদিও ১৯৪৩ সাল থেকে ফ্রান্সের একে দেওয়া একটি সীমানা আর একটি জাতীয়তাবাদী রঙিন পতাকা নিয়ে এই জমীনের উপর নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে, কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে এটা বরাবরই শাম (বৃহত্তর সিরিয়া) এর অংশ।

শেষ জামানার হাদিসসমূহে বিশেষ করে ইমাম মাহদির নেতৃত্বাধীন খৃষ্টানদের সাথে মহাযুদ্ধের সময়ে লেবানন পাহাড়ের উল্লেখ রয়েছে। 



হযরত কা’ব (রাঃ) বলেন, 
 
“অবশেষে আল্লাহ যখন এই বিষয়টিতে পূর্ণতাদানের ইচ্ছা করবেন, তখন এমন একটি জাহাজ তৈরি করা হবে যে, ইতিপূর্বে সমুদ্রে এমন জাহাজ আর চলেনি (অত্যাধুনিক কোন জাহাজের আভাস)। এবার তারা বলবে, তোমরা এই জাহাজে আরোহণ করবে। জাহাজটি কুস্তুন্তুনিয়ার (বর্তমানে ন্যাটোর সদস্য তুরস্কের রাজধানী ইস্তানবুল) পথে অতিক্রম করবে। কুস্তুন্তুনিয়ার অধিবাসীরা জাহাজটিকে দেখে সন্ত্রস্ত হয়ে উঠবে। তারা জিজ্ঞেস করবে, তোমরা কারা? তারা বলবে, আমরা খ্রিস্টবাদের পতাকাবাহী। আমরা সে জাতির পানে যাচ্ছি, যারা আমাদেরকে আমাদের পৈতৃক ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদ করে দিয়েছিল।

 
কুস্তুন্তুনিয়ার অধিবাসীরা তাদের জাহাজের মাধ্যমে ওদের (খ্রিস্টানদের) সাহায্য করবে। পরে তারা ‘আক্কা’ নামক বন্দরে (বর্তমান ইসরাইলের অধীন হাইফার সন্নিকটে উপকূলীয় শহর) উপনীত হবে। ওখানে ডিঙ্গিগুলোকে বের করে পুড়িয়ে ফেলবে এবং বলবে, এটি আমাদের ও আমাদের পূর্বপুরুষদের ভূমি। 

 
সে সময় (মহাযুদ্ধের সময়) আমিরুল মুমিনীন (ইমাম মাহদি) অবস্থানরত থাকবেন। তিনি মিসর, ইরাক অ ইয়েমেনে সাহায্য চেয়ে দূত পাঠাবেন। দূত মিসর থেকে এই বার্তা নিয়ে আসবে যে, আমরা উপকূলীয় মানুষ আর সমুদ্র আমাদের অবাধ্য। তাই আমরা তোমাদের কোন সাহায্য করতে পারবো না। মিসর তার কোন সাহায্য করবে না। দূত ইরাকিদের উত্তর নিয়ে আসবে এবং বলবে, আমরা সমুদ্র কূলবর্তী মানুষ আর সমুদ্র অবাধ্য। তো তারাও সাহায্য করবে না। তবে ইয়েমেনের অধিবাসীরা উটের পিঠে আরোহণ করে আসবে এবং তাদের সাহায্য করবে। কিন্তু এই সংবাদটি গোপন রাখা হবে।

 
আমিরুল মুমিনীনের (ইমাম মাহদির) দূত হেমস (সিরিয়ার বিখ্যাত একটি নগরী) হয়ে পথ অতিক্রম করবে। ওখানকার পরিস্থিতি এমন হবে যে, হেমসে অবস্থানরত অনারব লোকেরা (অর্থাৎ কাফেররা) ওখানকার মুসলমানদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। দূত এই সংবাদটি মুসলমানদের আমীরকে অবহিত করবে। আমীর বলবেন, এখনও আমরা কিসের অপেক্ষা করছি; অথচ প্রতিটি নগর জনপদে মুসলমানদের উপর অত্যাচার চলছে! তিনি হেমসের দিকে এগিয়ে যাবেন। ফলে এক তৃতীয়াংশ মুসলমান শহীদ হয়ে যাবে। এক তৃতীয়াংশ উটের লেজ ধরে বসে পড়বে (অর্থাৎ তারা জিহাদে যাবে না) এবং সাধারণ জনতার মাঝে ঢুকে যাবে। এই দলটি এমন এক অখ্যাত ভূমিতে প্রাণ হারাবে যে, কোন মানুষ তার সন্ধান জানবে না। এরা না আপন পরিজনের কাছে যেতে পারবে, না জান্নাতে যেতে পারবে। আর অবশিষ্ট এক তৃতীয়াংশ মানুষ বিজয় অর্জন করবে। 

 
তারপর তারা (মুজাহিদরা) লেবাননের পাহাড়ে কাফেরদের ধাওয়া করে করে উপসাগর পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। তখন এ-পর্যন্ত যিনি মুসলমানদের নেতৃত্ব দিয়ে আসবেন, শাসন ক্ষমতা তার হাতে অর্পণ করা হবে। পতাকা বহনকারী পতাকা হাতে তুলে নেবে এবং সেটি উড়িয়ে দিবে। তারা ফজর নামাজের অজুর করার জন্য পানির কাছে আসবে। কিন্তু পানি তাদের থেকে দূরে সরে যাবে। তারা পানির পেছনে পেছনে এগিয়ে যাবে। তখন পানি আরও দূরে চলে যাবে। এই অবস্থা দেখে তারা পতাকা তুলে নিয়ে পানির অনুসরণ করে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। এভাবে তারা নদীর এই কূলটি পেরিয়ে যাবে। ওখানে পৌঁছে তারা পুনরায় পতাকা উড়াবে। তারপর, ঘোষণা দিবে, লোকসকল, তোমরা উপসাগরটি পার হয়ে যাও। কারণ, আল্লাহ বনী ইসরাইলের জন্য সমুদ্রকে চিড়ে যেভাবে রাস্তা তৈরি করে দিয়েছিলেন, তেমনি তোমাদের জন্য সমুদ্র রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে (মুজাহিদ বাহিনীর জন্য আল্লাহর সরাসরি সাহায্য)। বাহিনী সমুদ্র পার হয়ে যাবে”। 

 
(আসসুনানুল ওয়ারিদাতুল ফিল ফিতান, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ১১৩৬)

ভুলে গেলে চলবে না এই লেবাননকে বলা হয় আরবের প্যারিস। আরবের তথা কথিত অনেক অত্যাধুনিক প্রগতিশীল গায়িকারা এই অঞ্চল থেকেই এসেছে আর মাতিয়ে রেখেছে গত কয়েক দশক গোটা আরব বিশ্ব। 

দেখা যাক সামনে কি দিন অপেক্ষা করছে ২০১৪ -> ২০২১ -> ২০২৫

No comments:

Post a Comment