Thursday, January 2, 2014

ইরাক থেকে জাজিরাতুল আরবঃ ২০১৪ নিয়ে কে ভয়ে আছে?

ইরাক সাদ্দাম হোসেনের সময় ছিল সেকুলার দেশ। আমেরিকা জীবনেও ভাবেনি যে এখানে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ শুরু হবে। কিন্তু ঐ যে অঙ্কে মনে হয় একটু বেশীই দুর্বল ছিল। পুরা হিসাব পালটে যায়।

আমেরিকার আক্রমনে সাদ্দাম সরে যায়, পুতুল মালিকি হামিদ কারজাই সাজে কিন্তু পিছনে শুরু হয়ে যায় সত্যিকারের খিলাফাত প্রতিষ্ঠার জিহাদ ফিসাবিলিল্লাহ। এর নেতৃত্বে রয়েছেন সেখানকার আমীর ডঃ আবু বকর আল বাগাদাদি আল হুসাইনি, যিনি সরাসরি কুরাইশ বংশের এবং আমীর উল মুমিনিন হবার সব যোগ্যতা পূরণ করেন।

২০০৮ সালে ইমাম আনোয়ার আল আওলাকি (রহ:) বলে গিয়েছিলেন এই আবু বকর আল বাগদাদির কথা। তখন হয়তো কেউ বুঝে নাই এই লোক আবার কে কিন্তু ২০১৩ সালের আরব দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে উনি নির্বাচিত হয়েছেন কুফফারদের এলাই আরব মিডিয়ায়।

এর কারণ আমাদের অজানা থাকলেও কুফফারদের অজানা নেই। উনি এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক এন্ড শাম (ISIS)এর। উনার প্রভাব কতটা ভয়াবহ হতে পারে একটু চিন্তা করলেই বুঝা যাবে। আমেরিকা আফগানিস্থানের অনেক আগেই ইরাক ছাড়তে বাধ্য হয়। শুধু ভাবি, আজ যদি ইমাম আওলাকি বেঁচে থাকতেন তাহলে দিকনির্দেশনা কি হত! আল্লাহ্‌ উনাকে ইনশাল্লাহ সবুজ পাখি বানিয়ে দিয়েছেন কিন্তু উনি যা করে গেছেন তার জাজা যেন আল্লাহ্‌ কিয়ামত পর্যন্ত চালিয়ে রাখেন। বিশ্বাসী মানুষের এত ভালবাসা ভবিষ্যতেও কয়জন মানুষ পাবে, তা হাতে গণা যাবে।

আমেরিকাকে নাকানি চুবানি খাইয়েই শুধু ছেড়ে দেয়নি বরং ইমাম মাহদির প্রকাশের পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে সুন্নাহ এর আলোকে যে ইসলামিক খিলাফত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা পুরুদমে করে চলেছেন। আর এর শেষ ধাক্কা এখন চলছে সিরিয়াতে (শামে) । সিরিয়া (শাম) এখন বিশ্ব ফিসাবিলিল্লাহ ক্ষেত্র। এটা আমার কথা না। পেন্টাগনের কথা। কি অদ্ভুত এরাও তাহলে ফি সাবিলিল্লাহ বুঝে। ফিরে যাবার আগে আর কিছু করতে না পেরে ইরাককে শিয়াদের হাতে তুলে দিয়ে গেছে আর সিভিল লোকজন মেরেছে পিঁপড়ার মত। কিন্তু মালিকি তোমার গাড়ির পিছনে জিহাদিরা দাঁড়িয়ে, এবার বারাককে বাই বাই করো, তোমার জন্য সামনে গন্তব্য একটাই অন্য একটা গাড়ি অপেক্ষা করছে।

কেউ যদি দয়া করে ইরাকে ইন্টারন্যাশনাল বাহিনীর পতাকা দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন দাজ্জালের সাগরেদদের প্রাথমিক পরাজয় ইরাকে হয়ে গেছে। এখন এর পরবর্তী স্টেপ চলছে সিরিয়াতে (শামে)। সুতরাং ইরান, ইরাক, লেবানন সহ অন্যান্য দেশের শিক্ষিত (জেনে শুনে শিয়া যারা) শিয়াদের পেটে তো আমাশয় শুরু হয়েছে। আর আলাউয়ি এবং নুসায়রা তো মাঠেই আছে। অবশেষে ইরান প্রকাশ করলো তার আসল চেহারা। যোগ দিল সরাসরি পশ্চিমাদের সাথে। সুতরাং এখানেও আসল ভয়ে আছে কুফফার আর শিক্ষিত শিয়ারা।

ঐযে একটা কথা আছে না আল্লাহ্‌র প্ল্যান নিখুঁত। এই ভয়ের বিষ এখন ছড়িয়ে পড়েছে সবগুলো আরব দেশে যেগুলোতে এতদিন আসল ইসলামকে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। সৌদির বাদশাহ থেকে শুরু করে দুবাইর রুলার কেউই এখন আর রাতে ঘুমাতে পারে কখন আবার কি হয়ে যায়? অবশেষে ৬ টি গালফ স্টেট এখন কনফেডারেশন (Gulf Cooperation Council, GCC) এর অধীনে ১০০০০০ সেনা সমাবেশ করার চিন্তা করতেছে। কিন্তু উনারা ভুলে গেছে, ঘরের ভিতরে বাতি নিবিয়ে থাকলেই সকালকে ডিনাই করা যায় না। সূর্যকে সরাসরি দেখা যাক আর নাই যাক সকাল হলে বাহিরে ফর্সা হবেই। আর তা শুরু হয়েছে প্রত্যেকটি আরব দেশে। আলহামদুলিল্লাহ্‌।

সুতরাং এখানেও ভয়ে আছে কুফফার, মুনাফিক এবং তাদের দোসররা। এই জন্য ধন্যবাদ পেতেই পারে আরব স্প্রিং যারা গনতন্ত্রের বিষাক্ত ইনজেকশন নিতে গিয়ে অবশেষে ছড়িয়ে দিল ফি সাবিলিল্লাহ।

এখন সউদি আরবসহ সবগুলো দেশে হক্ক আলেমদের জেলে নিয়ে নেয়া হয়েছে। সুতরাং আমরাও জেনে গেলাম কারা হক্ক আলেম আর কারা পেলেস আলেম। কি অদ্ভুত! আল্লাহর প্লান। এক কাজে কত পথ খুলে যায়! প্রত্যেকটি আরব দেশ এখন ক্যাশ টাকা দিয়ে পাবলিকরে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। না পারলে জেল। কিন্তু এতেও ঠিক পেরে উঠছে না। সিরিয়াতে (শামে) আরব থেকে ফিসাবিলিল্লাহ মানুষ যাচ্ছেই।

আর এই যাত্রায় আমাদের নতুন ইউরোপীয় ভাইয়েরা অনেক এগিয়ে। তাই ২০১৪ সাল বিশ্বাসীদের জন্য একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে কিন্তু কুফফারদের কফিনে আরেকটা শক্তিশালী পেরেক পরবে।

আহা! ২০১৪ সাল, তোমাকে এরা এত ভয় পায় কেন?

1 comment:

  1. This comment has been removed by a blog administrator.

    ReplyDelete