প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত জাবির ইবনে
আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, একবার আমরা কুরআনে কারীম পাঠ করছিলাম। মজলিসে শহুরে
আরবদের ছাড়াও গ্রাম্য আরব বাসিন্দা এবং কিছু অনারব লোকও ছিল। এমন সময় আল্লাহর
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাশরীফ আনেন। তিনি ইরশাদ করেনঃ “তিলওয়াত
করতে থাক। শীঘ্রই এমন একটা কাল আসবে যখন মানুষ কুরআনকে তীরের মত সোজা করবে (অর্থাৎ
অক্ষরগুলো আদায়ে যারপরনাই গুরুত্ব দেবে)। অথচ কুরআন তিলওয়াত দ্বারা তাদের উদ্দেশ্য
হবে দুনিয়া হাসিল করা। তারা কুরআন তিলওয়াত দ্বারা নিজেদের আখিরাত সাজাবার কথা
ভাববে না”। (বাইহাকী শরীফ)
অন্য একটি হাদিসে আছে, হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ “আবার খুব দ্রুত এমন একটা কাল আসবে যখন মানুষ
পবিত্র কুরআনকে গান এবং বিলাপের ভঙ্গিতে পাঠ করবে। অথচ তাদের তিলওয়াত তাদের
কণ্ঠনালীর উপরে যাবে না (অর্থাৎ আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না)। এই তিলওয়াতকারী এবং
তার শ্রোতাদের অন্তর ফেতনায় নিপাতিত হবে”। (মিশকাত শরীফ)
আজ বিশ্বব্যাপী আমরা এই চিত্র প্রত্যক্ষ
করছি। কুরআন শুনিয়ে আল্লাহর ঘর মসজিদে পয়সা চাওয়া হচ্ছে। মৃতের দু’আ অনুষ্ঠানে
কুরআন খতম করিয়ে মানুষ নাম ফুটাচ্ছে। তারাবীহ নামাজে কুরআন শুনিয়ে জীবিকার
ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিলাওয়াতের সময় মাখরাজ উচ্চারণ ও শিল্পভঙ্গির প্রতি পূর্ণ বরং
অতিরিক্ত মাত্রায় লক্ষ্য রাখা হচ্ছে অথচ তার মর্ম বুঝা কিংবা তার উপর আমল করার
প্রতি বিন্দুমাত্র লক্ষ্য নেই। এই দৃশ্য বড়ই বেদনাদায়ক।
No comments:
Post a Comment