হযরত হুজায়ফা (রাঃ) বলেছেন,
“ফেতনা মানুষের অন্তরসমূহের উপর আক্রমণ
চালায়। তো যে অন্তর তাকে অপছন্দ করে, তাঁর মাঝে একটি সাদা দাগ পড়ে যায়। পক্ষান্তরে
যে অন্তর তাতে ডুবে যায়, তাঁর মাঝে একটি কালো দাগ পড়ে”। (আসসুনানুল ওয়ারিদাতু ফিল
ফিতান, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২২৭)
হযরত হুজায়ফা (রাঃ) বলেছেন,
“কেউ যদি জানতে ইচ্ছা করে যে, ফেতনা তাকে
গ্রাস করছে কিনা, তাহলে তা বুঝবার উপায় আছে। সে লক্ষ্য করবে, ইতিপূর্বে যে বিষয়কে
সে হারাম জানত, এখন তাকে হালাল ভাবতে শুরু করেছে কিনা। যদি এমনটি হয়, তাহলে ধরে
নেবে, ফেতনা তাকে গ্রাস করে ফেলেছে। কিংবা যদি এমন হয় যে, ইতিপূর্বে একটি বিষয়কে
হালাল জানত, এখন তাকে হারাম ভাবতে শুরু করেছে, তাহলেও বুঝবে, ফেতনা তাকে গ্রাস
করেছে”। (মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫১৫)
হযরত হুজায়ফা (রাঃ) ফেতনায় জড়িত হওয়া না
হওয়ার লক্ষন শিখিয়ে দিয়েছেন যে, হারামকে হালাল আর হালালকে হারাম ভাবতে শুরু করা
ফেতনায় জড়িয়ে পড়ার আলামত। ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকা এবং আত্মসংশোধনের এটি একটি উত্তম
ব্যবস্থাপত্র।
যদি এমন হয় যে, আপনি ইতিপূর্বে সুদকে
হারামই ভাবতেন এবং তার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতেন, কিন্তু সুদ এখন আপনার কাছে গা-সহা
মনে হচ্ছে এবং তাতে জড়িয়েও পড়ছেন, তাহলে আপনাকে নিশ্চিত ধরে নিতে হবে, সময়ের ফেতনা
আপনাকে গ্রাস করে ফেলেছে, আর সেজন্যই আপনার মাঝে এই পরিবর্তন।
এক সময় আপনি পর্দার ব্যাপারে কঠোর ছিলেন,
কিন্তু এখন কেমন যেন বেপর্দাকে দোষ বলে মনে হচ্ছে না। এমনটি হলে ধরে নিতে হবে,
ফেতনা আপনাকে গ্রাস করে ফেলেছে। আপনি ফেতনায় জড়িয়ে পড়েছেন।
আল্লাহ আমাদেরকে ফেতনা থেকে দূরে রাখুন আর
যে সকল ফেতনায় জড়িয়ে পড়েছি, তা থেকে যথা শীঘ্রই মুক্ত করুন।
No comments:
Post a Comment