হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“পক্ষাঘাত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটবে। এমনকি
মানুষ রোগটিকে মহামারী ভাবতে শুরু করবে” (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক খণ্ড ৩,
পৃষ্ঠা ৫৯৭)
হযরত আবু সায়িদ খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“আমি সেই আল্লাহর শপথ করে বলছি, যার হাতে
আমার জীবন, কেয়ামত সেই পর্যন্ত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না হিংস্র জন্তুরা মানুষের
সাথে কথা বলবে। যতক্ষণ না চাবুকের গিট ও জুতার ফিতা তার সঙ্গে কথা বলবে। আর যতক্ষণ
না মানুষের উরু তাকে তথ্য জানাবে, তার অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রী কি কি কথা বলেছে
এবং কি কি কাজ করেছে”। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং
২১০৮; মুসতাদরাকে হাকেম খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫১৫)
দুরুদ ও সালাম সেই নবীর উপর, যিনি জীবনের
প্রতিটি অঙ্গনে আমাদেরকে পথ প্রদর্শন করেছেন। এই হাদিস রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামের বিস্ময়কর এক মোজেজা যে, এমন এক যুগে বসে তিনি কথাটি বলেছেন, যে যুগে
আধুনিক প্রযুক্তির কল্পনা করাও সম্ভব ছিল না। অথচ মাইক্রো চিপ এর আধুনিক যুগ
চিৎকার করে করে এই বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করছে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে এ ধরনের
চিপ তৈরি হয়েছে, এমনকি ব্যবহারও হচ্ছে। এই চিপ শরীরে স্থাপন করা থাকলে দূরে
অবস্থান করা অপর ব্যক্তি তার সব কথা শুনতে পায়। তাছাড়া শরীর থেকে খুলে সেই চিপের
ডেটা কম্পিউটারে ইত্যাদিতে ডাউনলোড করা হলে সব তথ্য বেরিয়ে আসে যে, এই লোকটি তার
অনুপস্থিতিতে কি কি করেছে। আপাতত এই যন্ত্রটি পায়ে বা বাহুতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
পাশাপাশি বাহু বা উরুর গোশতের মধ্যে স্থাপন করা যায় কিনা তারও গবেষণা চলছে।
বাকি থাকলো, মানুষের সাথে জীবজন্তুর কথা
বলা। আপনি শুনে থাকবেন, পশ্চিমা বিশ্ব জীবজন্তুর বুঝবার ও তাদের সঙ্গে কথা বলার
প্রযুক্তি আবিস্কারের জন্য অব্যাহতভাবে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment