Tuesday, June 25, 2013

আমি কি সেই মুসলিম?

মুসলিম কখনো আদর্শত্যাগী অর্থে ‘উদার’ হতে পারে না। ধর্মত্যাগী অর্থে ‘অসাম্প্রদায়িক’ হতে পারে না এবং ইসলাম, কুরআন, ইসলামের নবী এবং মুসলিম ভাইবোনের জান-মাল ইজ্জত-আব্রুর বিষয়ে নির্জীব ও নিস্পৃহ অর্থে ‘পরমতসহিষ্ণু’ হতে পারে না। মুসলিম যে উদারতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও পরমতসহিষ্ণুতায় বিশ্বাসী তা সত্যিকার অর্থেই উদারতা, অসাম্প্রদায়িকতা এবং পরমতসহিষ্ণুতা। এর নানান উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে মুসলিম জাতির ইতিহাস-গগণ আলোকিত।

কুরআন-সুন্নাহর আলোক বঞ্চিত মানব-সমাজে আশ্লীলতা অভিহিত হয় ‘বিনোদন’ নামে। অনাচার অভিহিত হয় ‘তারুণ্যের ধর্ম’ নামে। আর নারীর রূপ-যৌবন বাজারজাত হয় ‘নারীমুক্তির’ নামে। সর্বোপরি চিন্তা-চেতনায় এই বিকৃতিকেই মনে করা হয় শিল্প ও প্রগতি। এই বিকৃতির পৃষ্ঠপোষকতার জন্য যে শ্রেণীটি আছে তারা ‘প্রগতিশীল’ নামে পরিচিত।

আলোকিত ধর্ম-ইসলামের প্রধান শিক্ষা ঈমান। ঈমানের বিপরীত হচ্ছে কুফর। ঈমান হচ্ছে আলো আর কুফর হচ্ছে অন্ধকার। সুতরাং কুফরের অন্ধকার থেকে মুক্তি পেতে হলে ঈমানের দিকে আসতে হবে।

ঈমানের অন্যতম প্রধান বিষয় ‘তাওহীদ’। তাওহীদের বিপরীত বিষয়টি শিরক। তাওহীদ হচ্ছে আলো আর শিরক হচ্ছে অন্ধকার। সুতরাং অন্ধকার থেকে মুক্তি পেতে হলে তাওহীদের আলোই গ্রহণ করতে হবে।

ইসলামের আরেক প্রধান শিক্ষা ‘সুন্নাহ’। সুন্নাহ হচ্ছে বিদআ’র বিপরীত। সুন্নাহ হচ্ছে আলো আর বিদআ হচ্ছে অন্ধকার। সুতরাং বিদআর অন্ধকার থেকে মুক্তি পেতে হলে সুন্নাহর দিকে আসতে হবে।

ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা ‘আদাবে হাসান’ অর্থাৎ সুরুচি ও সুনীতি। এর বিপরীতে আছে ‘ফাওয়াহিশ’ অর্থাৎ অনাচার ও অশ্লীলতা। ‘আদাবে হাসান’ হচ্ছে আলো আর ‘ফাওয়াহিশ’ হচ্ছে অন্ধকার। সুতরাং ‘ফাওয়াহিশে’র অন্ধকার থেকে মুক্তি পেতে হলে ‘আদাবে হাসানে’র দিকেই আসতে হবে।

মানবজাতির সর্ববিধ অন্ধকার থেকে মুক্ত করার জন্যই কুরআনের আগমন। মহান আল্লাহ কত দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন:

"এটি সেই কিতাব যা আমি তোমার প্রতি নাযিল করেছি যেন তুমি মানুষকে বের করে আন অনেক অন্ধকার থেকে এক আলোর দিকে।" -সূরা ইবরাহীম (১৪) : ০১

আল্লাহ আমাকে মুসলিম হিসাবে মৃত্যুবরন করার তৌফিক দান করুন।

No comments:

Post a Comment