Monday, July 7, 2014

২০১৪ঃ নতুন খিলাফত এবং খলিফা প্রশ্নে কিছু কথা

মনটা বিষন্ন অবস্থায় লিখতে বসলাম। ইসলামের পবিত্র দুটি বিষয়-খিলাফাহ আর খলিফা নিয়ে এমন কিছু ভাইয়ের কাছ থেকে কটু মন্তব্য শুনছি, যাদের হৃদয়ে খিলাফাহ আর খলিফার প্রতি বিপুল ভালোবাসা দেখেছি, যাদের কাছে ইসলামের অনেক বেসিক শিখেছি ও শিখছি। আবার একইভাবে নিজ জীবন কোরবানী করে দেয়া মুজাহিদ নেতৃবৃন্দ আর মুসলিম ভাইয়ের নামে সেসব ভাইদের কটু কথা বলতে শুনছি, যাদের দেখে আল্লাহর পথে চলার জন্য অনুপ্রানিত হয়েছি, যাদের কাছে ইসলাম প্রত্যক্ষ দেখেছি ও শিখেছি ও শিখছি।

ইরাকে মুজাহিদদের একটি দল ইসলামের খিলাফা ঘোষণা করেছে। শাইখ আবু বকর আল বাগদাদীকে খলিফা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। অবস্থাটা এমন নয় যে, এর পক্ষে আছে মুজাহিদরা আর বিপক্ষে আছে সরকারী টাকায় পালন করা কিংবা নিজেদের দীনকে গোপন করা তথাকথিত স্কলারগন। বরং এর পক্ষে আছেন আমাদের ভাইয়েরা, বিপক্ষেও আছেন আমাদেরই ভাইয়েরা। এমন পরিস্থিতি ইসলামে নতুন কিছু নয়। এটা শুরু হয়েছে আলী বিন আবি তালিব রাঃ এর সময় থেকে, যখন মুয়াবিয়া বিন আবু সুফিয়ান রাঃ প্যারালালি নিজেকে খলিফা হিসাবে বায়াত গ্রহণ করেছেন। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধও এর সমাধান দিতে পারেনি। ইসলামের স্বর্ণযুগ দেখেছে দুজন খলিফার শাসন। এ অবস্থা আবার দেখা গেছে মুয়াবিয়া রাঃ এর মৃত্যুর পর, যিনি তাঁর পুত্রকে খলিফা হিসাবে নিয়োগ দিয়ে গেলেও মক্কা আর মদীনার সকল মুসলিম হাসান বিন আলী রাঃ কে খলিফা হিসাবে বায়াত দেয়। পরবর্তিতে হাসান রাঃ নিজেই মুয়াবিয়ার হাতে বায়াত দিয়ে ফিতনার অবসান ঘটান। পরবর্তিতে উমাইয়া বংশের খলিফা আবদুল মালিক বিন মারওয়ানের শাসনের সময় বিখ্যাত সাহাবী আবদুল্লাহ বিন যুবাইর রাঃ মক্কা, মদীনা, হিজাজ আর ইরাকের লোকদের পীড়াপীড়িতে নিজেকে খলিফা হিসাবে ঘোষণা দেন। এর ফলশ্রুতিতে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের নেতৃত্বে খলিফা আবদুল মালিকের সেনাদল আবদুল্লাহ বিন যুবাইর রাঃকে পাকড়াও করে ও তাঁকে প্রকাশ্যে ফাঁসী দেয়।

মুসলিমদের নিজেদের ভেতর কোন্দল কি নতুন?

স্মরণ করুন ভাই আমার সে সময়ের কথা, যখন রাসুলুল্লাহ সাঃ কোন এক সফর থেকে ফিরছিলেন। এমন সময় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মুহাজির আর আনসার সাহাবীদের ভেতর ঝগড়া শুরু হলো। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছালো যে, দুই পক্ষ যুদ্ধংদেহী হয়ে পড়লো। তরবারী খাপমুক্ত হলো নিজ ভাইয়ের রক্ত প্রত্যাশায়। এই সময় রাসুলুল্লাহ সাঃ মাঝখানে এসে দাঁড়ালেন। তিনি এমন ভাষণ দিলেন যে সাহাবাদের চোখ থেকে দরদর করে পানি ঝরতে লাগলো। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে এক হলো সবাই আবার।

স্মরণ করুন ভাই, রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ইন্তিকালের পর মুহাজির আর আনসাররা মদীনার দুই প্রান্তে ইসলামের খলিফা নির্বাচনের জন্য আলাদা আলাদা বসেছিলো। দুপক্ষই খলিফা হবার ব্যাপারে নিজেদের হক বেশী বলে দাবী করছিলো। এমন অবস্থায় উমার ইবনুল খাত্তাব রাঃ আবু বকর রাঃ কে নিয়ে আনসারদের মজলিশে গিয়ে এক ভাষণ দেন, যাতে তিনি তাদেরকে এই কথা স্মরণ করিয়ে দেন যে, খিলাফার নেতৃত্বে প্রাধান্য পাবে কুরাইশরা। এরপর তিনি আবু বকরের হাতে বায়াত গ্রহণ করেন। অধিকাংশ আনসার তাঁদের ভুল বুঝতে পেরে আবু বকর রাঃ এর হাতে বায়াত দেন। সাথে এও মনে করুন যে অনেকেই সেদিন বায়াত দিতে অস্বীকার করেছিলো, এমনকি অনেকে বায়াত দেননি। স্মরণ করুন ভাইয়েরা, আবু বকর রাঃ তাদের মুনাফিক বলেননি, তারা উম্মাহ থেকে বের হয়ে গেছে বলে বলেননি এমনকি তাদের কোন কটু কথা পর্যন্ত বলেননি।

স্মরণ করুন ভাইয়েরা, এখন ফিতনা ছড়িয়ে পড়ছে ঠিকই কিন্তু এর থেকেও বড় ফিতনা ইসলামের শুরুতেই দেখা ঙ্গেছে। উম্মুল মুমিনীন আয়িশা রাঃ যখন খলিফা আলী বিন আবি তালিব রাঃ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে দাঁড়ালেন তখনকার চেয়ে বড় দুঃখজনক ঘটনা আর কি হতে পারে? সে সময় সাহাব্দের কেউ ছিলেন আলী রাঃ এর পক্ষে, কেউ আয়িশা রাঃ এর পক্ষে। অনেকেই কোন পক্ষে না গিয়ে দূরে ছিলেন একাকী। যুদ্ধে আয়িশার বাহিনীর পরাজয় ঘটে, কিন্তু স্মরণ করুন ভাইয়েরা, যুদ্ধের পর আয়িশার নিরাপত্তা দিয়েছেন আলী রাঃ।

আপনি কষ্ট পাচ্ছেন অপর পক্ষের ভাইদের আচরণে। তাহলে স্মরণ করন ভাই হুনাইনের যুদ্ধের পর গণিমতের সম্পদ বন্টনের সময় রাসুলুল্লাহ সাঃ যখন নওমুসলিমদের বেশী দিচ্ছিলেন, তখন মদীনার কতিপয় আনসার এই বলে রাসুল সাঃ, যাঁকে ইনসাফের ঝান্ডা দিয়ে আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পাঠিয়েছেন, তাঁকে পর্যন্ত অপবাদ দিয়ে বসেছিলো যে, "এই বন্টনে ইনসাফ করা হচ্ছে না"। রাসুলুল্লাহ সাঃ উত্তরে শুধু এতটুকুই বলেছিলেন যে, "আল্লাহ্‌ মুসার উপর রহম করুন। তাঁকে এর থেকেও বেশী কষ্ট দেয়া হয়েছে। আল্লাহর রাসুল যদি ইনসাফ না করে, তাহলে ইনসাফ করবে কে?"। তিনি ওদের কিছু বলেননি স্বয়ং আল্লাহর রাসুলুকে অপবাদ দেবার জন্য। তিনি এমন বক্তৃতা দিয়েছিলেন যে, তাদের অশ্রুর বাঁধ ভেঙে গিয়েছিলো। ধৈর্য্যের ব্যাপারে স্মরণ করুন ভাই রাসুলুল্লাহ সাঃকে, আর উদাহরণ হিসাবে তাঁর চাইতে আর কে উত্তম হতে পারে?

ইসলামের একটি খিলাফাহ ঘোষণা করা হয়েছে যেটা কোন সরকারী আলিম বা পীর-মাশায়েখ গোষ্ঠী জাতীয় কেউ ঘোষণা করেনি। আল্লাহর দ্বীনের পথে থাকা ভাইয়েরাই তা ঘোষণা করেছেন। এর পাশে দাঁড়ানো বা না দাঁড়ানো যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেউ নিজ মতের উপর দৃঢ় হতেও পারে। তবে এই উপলক্ষে এমন কোন কথা বা কাজ থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিৎ যার দ্বারা ক্ষতি হয় শুধুই ইসলামের। আজ আমাদের মনে রাখা উচিৎ শুধুমাত্র আমাদের এই বিভক্তির জন্য বিগত কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম আল্লাহর পথে লড়াইরত ভাইদের বিভেদ দেখে দূর থেকে হাসছে কুফফাররা। তাদের চেষ্টা থাকবে একে জিইয়ে রাখার এবং কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার।

বলছিলাম আবু বকর রাঃ এর নাতি, রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ফুপাতো ভাই যুবাইর বিন আউয়ামের ছেলে, যাঁর জীবনের প্রথম খাবার ছিলো রাসুলুল্লাহ সাঃ এর চিবিয়ে দেয়া খেজুর সেই আবদুল্লাহ বিন যুবাইর রাঃ এর শেষ দিনগুলোর কথা। খলিফা আবদুল মালিক বিন মারওয়ানের সমান্তরালে তাঁকে খলিফা হিসাবে বায়াত দেয় মক্কা, মদীনা, হিজাজ, ইরাক ও খোরাসানের বিপুল সংখ্যক মুসলিম। অন্যদিকে আবদুল মালিক বিন মারওয়ানের হাতে বায়াত করে বাকী প্রান্তের মুসলিমরা। এহেন অবস্থায় আবদুল্লাহ বিন যুবাইরের বিরুদ্ধে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের নেতৃত্বে বাহিনী মক্কায় তাঁর বাহিনীকে অবরোধ করে। ইবনে যুবাইরকে ছেড়ে আস্তে আস্তে সবাই চলে যায়। এমনকি এক সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরাও তাঁকে ত্যাগ করে, থেকে যায় একান্ত বিশ্বস্ত জানবাজ কিছু সঙ্গী। এমন অবস্থায় জীবনের শেষক্ষণের আগে তিনি এসে দেখা করেম মহীয়সী মা এবং আবু বকরের কন্যা আসমা বিনতে আবু বকরের কাছে। মা আর ছেলের এই ইতিহাস্খ্যাত কথোপকথনের কিছুটা তুলে ধরছি।

যুবাইর মায়ের কাছে এসে সালাম দিয়ে বললেন,
- হাজ্জাজের ভয়ে বা তার প্রলোভনে পড়ে আমার লোকেরা আমাকে ফেলে চলে গেছে, এমনকি আমার সন্তান আর আমার পরিবারের লোকেরাও আমাকে ফেলে চলে গেছে। এখন আমার সাথে অল্প কিছু লোক আছে। তাদের ধৈর্য্য আর সাহসিকতা থাকলেও তারা এক-দুই ঘন্টার বেশী টিকতে পারে না। এদিকে উমাইয়ারা প্রস্তাব পাঠিয়েছে আমি আবদুল মালিককে খলিফা বলে মেনে নিলে ও অস্ত্র ফেলে বায়াত করলে পার্থিব সম্পদ যা চাই তারা তা দেবে। এ অবস্থা আপনার কি পরামর্শ?
 আসমা রাঃ উচ্চস্বরে বললেন,
- ব্যাপারটা একান্তই তোমার নিজস্ব। যদি তুমি দৃঢ়প্রত্যয়ী থাকো যে তুমি সত্যের উপর আছো এবং মানুষকে সত্যের দিলে ডাকছো, তাহলে তোমার পতাকয়াতলে যারা অটুট থেকে শাহাদাতবরণ করছে তাদের মতো তুমিও অটল থেকো। আর যদি তুমি দুনিয়া প্রত্যাশী হয়ে থাকো তাহলে তুমি একজন নিকৃষ্টতম মানুষ। তুমি নিজকে আর তোমার লোকদের ধ্বংস করেছো।
- তাহলে আজ আমি নিশ্চিতভাবে নিহত হবো
- স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ এবং বনু উমাইয়ার ছোকরারা তোমার মন্ডু নিয়ে খেলবে তা থেকে নিহত হওয়া উত্তম।
- আমি নিহত হতে ভয় পাচ্ছিনা আম্মা। আমার ভয় হচ্ছে মৃত্যুর পর আমার হাত-পা কেটে বিকৃত কত্রা হবে।
- নিহত হবার পর মানুষের ভয়ের কিছু নেই। জবেহ করা ছাগলের চামড়া তোলার সময় সে কষ্ট পায়না।
একথা শোনার পর আবদুল্লাহ বিন যুবাইরের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো বললেন,
- আমার কল্যাণময়ী মা, আল্লাহ্‌ আপনার সুমহান মর্যাদা আরো বাড়িয়ে দিন। এই ঘোর সংকটের মুহূর্তে আপনার মুখ থেকে এ কথাগুলো শোনার জন্যই আমি এসেছি। আল্লাহ্‌ জানেন আমি ভীত নই। তিনি সাক্ষী আমি যে জন্য লড়ছি তা কোন জাগতিক সুখ স্বাচ্ছন্দের জন্য নয়। আপনি যা পছন্দ করছেন আমি সেখানেই যাচ্ছি। আমি শহীদ হলে আমার জন্য দুঃখ করবেন না এবং আপনার সবকিছুই আল্লাহর হাতে সোপর্দ করবেন।
- যদি তুমি অসত্য ও অন্যায়ের উপর নিহত হও, আমি ব্যথিত হবো।
- আম্মা, আপনি বিশ্বাস রাখুন, আপনার এ সন্তান কখনো অন্যায় অশ্লীল কাজ করেনি, আল্লাহর আইন লঙ্ঘন করেনি, কারো বিশ্বাস ভঙ্গ করেনি, কোন মুসলিম বা জিম্মির উপর জুলুম করেনি। আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির চেয়ে উৎকৃষ্ট তার কাছে এই পৃথিবীতে আর কিছুই নেই। এ কথা দিয়ে নিজেকে নিষ্পাপ আর পবিত্র বলা আমার উদ্দেশ্য নয়, কারণ আমার সম্পর্কে আল্লাহ্‌ এর চেয়ে ভলো জানেন। আপনার অন্তরে ধৈর্য্র আর সহিষ্ণুতা তৈরী হোক-কেবল এজন্যই একথাগুলো বলা। আসমা রাঃ বললেন
- আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি জাআ'লাকা আলা মা ইউহিব্বু ওয়া উহিব্বু-সেই আল্লাহর সকল প্রশংসা, যিনি তাঁর ও আমার পছন্দনীয় কাজের উপর তোমাকে অটল রেখেছেন। ব্যাটা তুমি শেষবারের মতো আমার কাছে একটু এগিয়ে এসো, আমি তোমার গায়ের গন্ধ শুঁকি আর তোমাকে স্পর্শ করি, কারণ এটাই ইহজীবনে তোমার আর আমার শেষ সাক্ষাত।
আবদুল্লাহ উপড় হয়ে মহীয়সী মায়ের হাতে ও পায়ে চুমু খেতে লাগলেন।আর মা ছেলেম মাথা, কাঁধ, মুখে নিজের নাক আর মুখ ঠেকেইয়ে শুঁকতে ও চুমু খেতে লাগলেন ও নিজের দুটি হাতে পুত্রের শরীরে পরশ বুলিয়ে দিলেন। আবদুল্লাহ বন্ধনমুক্ত হয়ে রওয়ানা দিলেন যুদ্ধক্ষেত্রে। সাথে সাথে আসমা রাঃ দুটি হাত আকাশের দিকে তুলে দুয়া করলেন,
"হে আল্লাহ্‌, রাতের অন্ধকারে মানুষ যখন গভীর ঘুমে অচেতন থাকে, তখন তার জেগে জেগে দীর্ঘ ইবাদত আর উচ্চকন্ঠ্যে কান্নার জন্য আপনি তার উপর রহম করুন। হে আল্লাহ্‌, রোজা অবস্থায় মক্কা ও মদীনার মধ্যাহ্নকালীন ক্ষুধা ও পিপাসার জন্য আপনি তার উপর রহম করু। হে আল্লাহ্‌, পিতামাতার প্রতি সদাচারণের জন্য তার প্রতি আপনি করুণা বর্ষণ করুন। হে আল্লাহ্‌, তাকে আমি আপনারই কাছে সোপর্দ করলাম, তার জন্য যে ফায়সালা আপনি করবেন তাতেই আমি রাজী। এর বিনিময়ে আপনি আমাকে ধৈর্য্যশীলদের প্রতিদান দান করুন"।

সেদিন সূর্যাস্তের আগেই মৃত্যু হয় আবদুল্লাহ বিন যুবাইর রাঃএর। ইসলামের ইতিহাস দেখে আরেকটি ভাতৃঘাতী করুণ পরিণতি। তবে যার সেনাদলের হাতে নিহত হয়েছিলেন আবদুল্লাহ বিন যুবাইর, সেই আবদুল মালিক বিন মাওওয়াঙ্কে আমরা কি বলবো? ফাসিক, জালিম, মুনাফিক? আল্লাহর শপথ, তা নয়। খুলাফায়ে রাশেদীনের সময়কালের পর ইসলামের ইতিহাসে যে কয়জন তাকওয়াবান ও অনন্য শাসক এসেছে, তিনি তাঁদের ভেতর অন্যতম একজন। ইসলামের ইতিহাসবদদের অধিকাংশের মতে, তাবেয়ীদের ভেতর শ্রেষ্ঠ ছিলেন সায়িদ ইবনুল মুসায়্যিব। তবে ইতিহাসবিদদের অনেকেই মন্তব্য করেছেন, আবদুল মালিক বিন মারওয়ান যদি খলিফা না হতেন এবং শাসনকাজের স্বার্থে তাঁকে কঠোর না হতে হতো, তাহলে তিনিই হতেন শ্রেষ্ঠ।

ইসলামের ভাতৃঘাতী ইতিহাসে কোনভাবেই কনক্লুসিভ কোন সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। আজ আবার সে সময় এসেছে। আমরা যারা ঘরে বসে আছি তারা যে যার পক্ষ নিতে পারি সত্যি, কিন্তু আমাদের বিরোধিতার সীমা যেন আল্লাহর বেঁধে দেয়া সীমা অতিক্রম না করে যায়।

লিখেছেনঃ ডাঃ ফাইয়াদ মাহমুদ 

No comments:

Post a Comment