Saturday, April 12, 2014

নবীর ভবিষ্যদ্বাণী: বিদ্যুতের বিলুপ্তি ও পূর্বেকার যুদ্ধাবস্তায় প্রত্যাবর্তন



নবীর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী পূর্বেকার যুদ্ধাবস্তা শেষ জামানায় ফিরে আসবে, মানুষ আবার বর্শা তরবারি দিয়ে নিকট ভবিষ্যতে যুদ্ধ করবে অনেকের ধারণা  তেল অনান্য শক্তির উৎস নিঃশেষিত হবেযেখানে এখনো হাজার কোটি টন সম্পদ মুসলিম ভূমিতে বিদ্যমান আমরা অনেকই  ভাবি যে এত তেল অনান্য শক্তির উৎস  থাকতে  বর্শা তরবারি, তির ধনুক দিয়ে কেন শেষ জামানার যুদ্ধ সংগঠিত হবে ? আমার যতদুর মনেহয়, নবীর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ইসরায়েলের রাজা দজ্জাল তখনও উড়োজাহাজ হাইটেক ব্যবহার করতে থাকবে কি কারণে ইস্রায়েল সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে থাকবে আর মুসলিমরা মধ্যযুগে ফিরে যাবে


সম্ভবত কি ধরনের যুদ্ধবিগ্রহ ঘটবে, তার উপর নির্ভর করবে”।


ভবিষ্যত যুদ্ধবিগ্রহ  যা মুসলিম  ভূমিতে হবে তা মূলত মধ্যপ্রাচ্যে ভবিষ্যতে গুলাবারুদের চেয়ে বৈদ্যুতিক অস্ত্রশস্ত্র বেশি ব্যবহার হবে মুসলিম অবকাঠামো ধ্বংসে Electromagnetic Pulse weapons (EPW) এবং  Radiofrequency weapons (RFW) ব্যবহৃত হবে এবং মুসলিম যুদ্ধা শাসকরা যোগাযোগ পরিচালনাতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা কঠিন হয়ে পরবে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক অস্ত্র যেকোন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামকে পুড়িয়ে অথবা ধ্বংস করতে সক্ষম হবে
 

একারণে মুসলিম গ্রাম শহরগুলো বৈদ্যুত সল্পতায় থাকবে যখন বাকি বিশ্ব যোগাযোগব্যবস্থা,সম্পদে প্রাচুর্যময় থাকবে মধ্যপ্রাচ্যের গণহত্যা যদি উপেক্ষা করা হয় তবে পূর্ব পশ্চিমা জনগনের কাছে মুসলিমদের দারিদ্রতা কোনো গুরুত্ব বহন করবে না
 

ইসলামিক ভূমি গুলুতে চিরচারিত জীবন ব্যবস্থা


আমরা যদি তালিবান শাসিত আফগানিস্থান অথবা আনসার আল শারিয়া শাসিত ইয়েমেন অথবা আনসার আল দীন শাসিত মালির তিম্বুক্তু এর দিকে তাকাই তবে আমরা একটি সাধারন চিত্র দেখতে পাই তা হলো - ইসলামী সরকার সেখানে জনগনের মোবাইল ব্যবহার রোধ করেছিল কিন্তু কেন ?

সরকার জানত যে যেকোনো ধরনের সিগন্যাল শহরের বাহিরে থেকে আসাটা নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগণ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই মোবাইল নেটওয়ার্ক অথবা কৃত্রিম উপগ্রহ নেটওয়ার্ক এর স্বত্বাধিকারীদের ( সচরাচর এরা আমেরিকা, ইস্রায়েল জোটের নিয়ন্ত্রিতমাধ্যমে নজরদারির আওতায় চলে আসতে পারে তারা জনগনের কথা আড়িপাতে  দেশের তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পারে কে এই ইসলামিক সরকারকে অপছন্দ করে এবং এই অনুযায়ী নিল নকশা প্রনয়ন করে এককথায় ইলেকট্রনিক যোগাযোগ বন্ধ রাখায় দেশের নিরাপত্তা বিদেশের গুপ্তচরবৃত্তি হতে নিরাপদ থাকে   


আমরা যদি পরিপ্রেক্ষিতের দিকে তাকাই তবে দেখতে পাব যে এই ধরনের জাতির লোকেরা পুরনো দিনের মতো ঐতিহ্যগত লাইফস্টাইলে ফিরে যায়। তাই আফগানিস্তান, মধ্য প্রাচ্য ইসলামপন্থী নিয়ন্ত্রিত ভুমির লোকেরা ইতিমধ্যে ঐতিহ্যগতপুরনো দিনের ন্যায়ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে এমনকি তারা সেটা নিজেরা বুঝতেও পারছে না। যেসব লোকেরা শরণার্থী শিবিরে বাস করছে তারা নিজেদের অজান্তেই অনাগত ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।


যদিও মুসলিম ভূমিগুলো লাইফস্টাইলের দিক থেকে পুরনো দিনের দিকে ফিরে যাবে কিন্তু যুদ্ধগুলো  ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক যুদ্ধ হিসেবে চলতে থাকবে (নেটে সার্চ করুন এই কি ওয়ার্ড দিয়ে Railgun - রেইল্গানএটি ইলেক্ট্রিক প্রজেক্টাইলকে শুট করে পুরো একটি বিল্ডিংকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে এবং এটি ব্যাপক ধংসজজ্ঞের কারন হয় এবং এমনকি সম্ভবত তীব্র লেসার অস্ত্র যা কিনা লেসার থেকে নিঃসৃত রশ্মি যেখানেই পৌঁছবে তা ধ্বংস করে ফেলবে), শত্রুপক্ষের ক্রিয়াকে অক্ষম কষ্টসাধ্য করে দিতে যোগাযোগ থেকে অস্ত্রের ক্ষেত্রে এমনকি যুদ্ধবিমানের সংকেতের ক্ষেত্রে এই ধরনের বহনযোগ্য অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য চরম আকাংখিত অস্ত্র (যেমন ম্যানপ্যাড, ঠিক সেরকম নয় যেমনটি আজকের বিশ্বে পারমানবিক অস্ত্র আকাংখিত) অথবা দৃষ্টিসীমার মধ্যে যতটুকু চখে পড়ে তার পুরো ব্লকটাই এই বহনযোগ্য তীব্র লেসার অস্ত্র দিয়ে ্বংস করার কাজেও ব্যাবহার করা হতে পারে। এগুলোই ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সত্যিকার অস্ত্র যার অনুরূপ কোন অস্ত্র ইতিহাসে আর দেখা যায় না এবং এগুলো একজন মানুষের পক্ষে বহন করাও সম্ভব।


যখন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক লেসারের ধ্বংস চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যাবে তখন গেরিলা যুদ্ধে ইলেক্ট্রিসিটি উৎপাদনের উৎসগুলোকে টার্গেট করা হবে এবং অন্তর্ঘাতের কারনে তার ধ্বংস হবে। সমবত এর ফলে ইলেক্ট্রিসিটি শক্তির উৎসগুলোর পরিসমাপ্তি ঘটবে এবং মানুষ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ঐতিহ্যগত যুদ্ধের পথ অবলম্বন করবে।


এই পরিবর্তনের কারনে মুসলিমরা লাভবান হবে কারন তাদের বিভিন্ন চেহারার শত্রু থাকবে যাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যাবহারের কারনে তাদের মোকাবেলা করা খুবই কঠিন হবে।



এই সময়ে মুসলিমরা তাদের পুরনো দিনের ন্যায় ঐতিহ্যবাহী গেরিলা যুদ্ধ দীর্ঘ সময় চালিয়ে এতে অভ্যস্ত হওয়ার কারনে তুলনামূলক অধিক শক্তিশালী হবে।

আর তাই তো বিবিসি আর সিএনএন এর মতো কাফের মিডিয়াতেও মুজাহিদদের যে ভিডিওগুলো আমরা দেখেছি, আফগানিস্তান ও সিরিয়াতে মুজাহিদরা আধুনিক যুদ্ধের প্রস্তুতি ছাড়াও নিকট ভবিষ্যতের ঐতিহ্যগত যুদ্ধের জন্য ইতিমধ্যে তরবারি চালনা ঘোড়া ব্যাবহারের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

No comments:

Post a Comment