Thursday, March 20, 2014

২০১৪ মার্চঃ জাজিরাতুল আরব এঁর অন্তর্ভুক্ত অন্যতম ভূখণ্ড 'বাহরাইন'

আপনারা হয়ত ইতিমধ্যেই জেনেছেন যে, ইমাম মাহদির আগমন যতই নিকটবর্তী হবে গোটা জাজিরাতুল আরব (বর্তমান সৌদি আরব, বাহরাইন, কাতার, কুয়েত, ওমান, আরব আমিরাত) উত্তপ্ত হতে থাকবে, সংঘাত ছড়িয়ে পরতে থাকবে এবং সর্বশেষ সেই সংঘাত হজ্জ মৌসুমে মিনা পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছাবে।

তাই এখন থেকেই বিশ্বাসী বান্দা হিসাবে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি থাকবে জাজিরাতুল আরব এর অন্তর্ভুক্ত ভূখণ্ডগুলোর প্রতিটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সর্বোপরি সামরিক পরিস্থিতির উপর।

আজ আমি আপনাদের বাহরাইন সম্পর্কে একটু জানাবো। এটি সৌদি আরব এঁর সাথে সীমানাযুক্ত একটি রাষ্ট্র যার রাজ পরিবার সৌদি রাজ পরিবারের খুবই ঘনিষ্ঠ। এখানে মুসলিম পরিচয়দানকারীদের মাঝে ৬৬% - ৭০% শিয়া। কিন্তু শাসন ক্ষমতা আহলে সুন্না ওয়াল জামাআদের হাতে।

এখানে শাসকদের বিরোধী পক্ষ এই শিয়া জনগোষ্ঠী আবার আরেক আঞ্চলিক পরাশক্তি ইরানের মদদপুষ্ট। ২০১১ এঁর মার্চ এ প্রথম যখন বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছিল তখন শাসক রাজ পরিবারের পক্ষে সৌদি সরকার সরাসরি সেই বিদ্রোহ দমনের জন্য সৌদি সেনাবাহিনী পাঠিয়েছিল।

যা হোক, ২০১৪ এর শুরু থেকেই সেই দেশে অস্থিরতা চলছে কিন্তু দাজ্জালি মিডিয়া তা খুব একটা প্রাধান্য দিয়ে প্রচার করছে না। ইউটিউবে bahrain unrest 2014 লিখে সার্চ দিলে শুধু এই বছরে ঘটা সংঘাতসমূহের একটা ধারণা পাওয়া যাবে।

গতকাল (১৯/০৩/২০১৪) বাহরাইনের রাজা ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে এসে আকস্মিকভাবে পাকিস্তানের সামরিক মন্ত্রীসহ তিন বাহিনীর প্রধানের সাথে সাক্ষাত করেন। আরও সামরিক সহযোগিতা কামনা করেন। ২০১১ এর বিদ্রোহ দমনের জন্য পাকিস্তানও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য পাঠিয়েছিল। তাছাড়া পাকিস্তান বাহরাইনের নৌবাহিনী গঠনে সহায়তা করে এবং বর্তমানে বাহরাইনের নিরাপত্তা বাহিনীতে ১০০০০ পাকিস্তানি নাগরিক চাকুরিরত।

হিন্দের অন্যতম এই ভূখণ্ডের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জাজিরাতুল আরবের এই ভূখণ্ডের সাথে সামরিক এই সহযোগিতা বিশেষ করে রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দমনে সরাসরি অংশগ্রহণকে সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখছে।

http://www.dawn.com/news/1094318/analysis-quiet-and-dangerous-engagement

এমনকি আজ (২০/০৩/২০১৪) তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিডিয়াকে বলতে বাধ্য হয়েছে যে, পাকিস্তান বাহরাইন বা সৌদিতে কোন সেনাবাহিনী পাঠাচ্ছে না।

http://www.dawn.com/news/1094412/pakistan-not-sending-troops-to-bahrain-or-saudi-pm

অথচ মূর্তিপূজারীদের সংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার এই  সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম নামধারী ভূখণ্ডের সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়া শুধু নানা বাহানায় নাচন কুর্দন নিয়েই ব্যস্ত আর উম্মতের চলতি হাল এর ব্যপারে অজ্ঞ।

২০১১ থেকে এপর্যন্ত ১২ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে এবং ৩০০০ পুলিশ দায়িত্ব পালনকালে আহত হয়েছে। সর্বশেষ এই মাসের ৩ তারিখ (০৩/০৩/২০১৪) তে বোমার আঘাতে ৩ জন পুলিশ মারা যায়।

সকল সতর্ক  আল্লাহর দাস ও দাসীদেরকে উম্মতের চলতি হাল সম্পর্কে সজাগ থাকার অনুরোধ।

সামনে ২০২১ থেকে ২০২৫...

No comments:

Post a Comment