Saturday, January 4, 2014

মুরতাদ প্রশ্নে আবুবকরের দৃঢ়তা



ভন্ড মহিলা নবী সাজাহ- এর মিত্র ও সাহায্যকারী মালিক ইবনে নুয়াইরা মুসলিম সেনাধ্যক্ষ খলীফাদের হাতে যুদ্ধে পরাজিত ও বন্দী হলেন। মালিক ইবনে নুয়াইরা যাকাত দেয়া বন্ধ করেছিল। অনেকের মতে মাগরিব ও এশার নামায পড়া বন্ধ করে দিয়েছিল সেসিদ্ধান্ত সাপেক্ষে হযরত খালিদ মালিককে সাহাবী হযরত যিরার ইবনে আওয়ার (রাঃ) এর দায়িত্বে সোপর্দ করেছিলেন। পরে সে নিহত হয়ে ছিল। 

এ খবর মদীনায় পৌঁছালে হযরত উমার (রাঃ) হযরত যিরার (রাঃ) ও হযরত খালিদ (রাঃ) এর বিরুদ্ধে মালিক হত্যার অভিযোগ আনলেন। হযরত উমার (রা) পরিস্থতিগত কারনে যাকাত অস্বীকারকারীদেরকেও সাময়িক ভাবে মুসলমান বলে মনে করার পক্ষপাতি ছিলেন। উমার ফারুক (রাঃ) হযরত আবু বকর (রাঃ) এর কাছে অভিযোগ করে বলেছিলেন, “খালিদ মালিককে হত্যা করে কিতাবুল্লাহের বিরুদ্ধাচারণ করেছে।”

কিন্তু হযরত আবু বকর তাঁর সাথে এক মত হলেন না। মুরতাদদের জন্য খলীফা হযরত আবু বকর (রাঃ) এর বিন্দুমাত্র দরদ ও ছিল না। মুরতাদের প্রতি হযরত উমার (রাঃ) এর শৈথিল্য প্রস্তাবের উত্তরে খলীফা আবু বকর (রাঃ) বলেছিলেন, “আমি নামায, যাকাত প্রভৃতি কোন ফরয সমন্ধে সামান্য শৈথল্য প্রদর্শন করতে পারি না। আল্লাহুর ফরয হিসাবে নামায ও যাকাতের মধ্যে কোন প্রভেদ নেই। আজ যাকাত সম্বন্ধে শৈথিল্য দেখালে কাল নামায রোযা সম্বন্ধেও কিছুটা ঢিল দিতে হবে। আল্লাহুর শপথ করে বলছি, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে যারা একটি মেষ শাবক যাকাত দিত, আমি সেই মেষ শাবক পর্যন্ত লোকের ভয়ের খাতিরে বাদ দিতে পারব না। আল্লাহ এবং আল্লাহুর রাসূল (সাঃ) এর হুকুমের সকল অবাধ্য লোককে অবনত করতে আমি একা হলেও যুদ্ধ করে যাব।”

1 comment:

  1. সবচেয়ে কোমল হৃদয়ের মানুষটিও নবী (স:) ভালোবেসে একাই যুদ্ধে নামার মতন সংকল্পও করেছিলেন। সুবহান আল্লাহ্‌!

    ReplyDelete