দাজ্জালের ফেতনা হাদিসের আলোকে
দাজ্জালের ফেতনা কতটা ভয়াবহ একটি বিষয় দ্বারাই তার অনুমান করা যায় যে,
স্বয়ং নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ফেতনা থেকে আশ্রয়
প্রার্থনা করতেন এবং তিনি যখন সাহাবাগনের সম্মুখে এই ফেতনার আলোচনা করতেন,
তখন তাদের মুখে ভয়ের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পেত। প্রশ্ন হল, দাজ্জালের ফেতনায়
সেই বিষয়টি কোনটি, যেটি সাহাবা কেরামকে সন্ত্রস্ত করে তুলেছিল? সেটি কি
ভয়াবহ যুদ্ধ, নাকি মৃত্যু? কিন্তু সাহাবা কেরামগন এ বিষ্যগুলোকে ভয় পাওয়ার
মতো মানুষ ছিলেন না।
সেই বিষয়টি হল, দাজ্জালের ধোঁকা এবং
প্রতারণা। সে সময়টি এত ভয়াবহ হবে যে, বাস্তব অবস্থাটা আসলে কি তা বোঝাই
সম্ভব হবে না। মানুষকে বিভ্রান্তকারী নেতার ছড়াছড়ি থাকবে। অপপ্রচারের
অবস্থা এই হবে যে, মূহুর্তের মধ্যে সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে
পৃথিবীর কোনায় কোনায় পৌছিয়ে দেওয়া হবে। মানবতার শত্রুকে মুক্তিদাতা আর
মুক্তিদাতাকে সন্ত্রাসী আক্যায়িত করা হবে।
এ কারনেই নবীজি
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাজ্জালের ফেতনাকে খোলাখুলি বর্ণনা
করেছেন। তার গঠন, আকৃতি ও আত্মপ্রকাশের স্থান পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, সাধারণ মানুষ তো বটে, বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এই ফেতনার
আলোচনা একদম ছেড়ে দিয়েছে। অথচ, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বারবার এই ফেতনার আলোচনা করে বলেছেন,
“আমি বিষয়টি তোমাদেরকে
বারবার এইজন্য বর্ণনা করছি, যাতে তোমরা বিষয়টি ভুলে না যাও। তোমরা বিষয়টি
উপলব্ধি করো, তাতে চিন্তা গবেষণা করো এবং অন্যদের কানে পৌছে দাও”।
No comments:
Post a Comment