Tuesday, August 20, 2013

আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ ও সা’দ ইবন রাবীর সেই কবুল দোয়া



উহুদের যুদ্ধ ক্ষেত্র। যুদ্ধের আগের দিন সন্ধ্যা। 

হযরত আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ (রাঃ) গিয়ে হযরত সা’দ ইবন রাবী (রাঃ) কে বলল, “চল আমরা একত্রে দোয়া করি। আমি দোয়া করব, তুমি ‘আমীন’ বলবে। আবার তুমি দোয়া করবে আমি ‘আমীন’ বলব।’’


প্রথমে প্রার্থনা কলেন হযরত সা’দ ইবন রাবী (রাঃ)। তিনি দুটি হাত উর্ধে তুলে বললেন, “হে আল্লাহ, আগামী কালের যুদ্ধে এক ভীষণ যোদ্ধা আমাকে জুটিয়ে দিন তাকে যেন যুদ্ধে আমি পরাজিত করে আমি গাজী হতে পারি আর তার পরিত্যক্ত মাল-সম্ভার আমি লাভ করি।”সা’দ ইবন রাবী (রাঃ) এর এ প্রার্থনায় হযরত আবদুল্লাহ ইবন জাহশ (রাঃ) ‘আমীন’ বললেন। 

তারপর হযরত আবদুল্লাহ ইবন জাহশ (রাঃ) এর পালা। হযরত আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ (রাঃ) দুটি হাত তুলে মহান প্রভুর দরবারে সানুনয় প্রার্থনা জানালেন, “হে আল্লাহ, আগামী কালের যুদ্ধে আমাকে অতি বড় এক শত্রুর মুখোমুখি করুন। আমি যেন সর্ব শক্তি দিয়ে মুকাবিলা করি এবং অবশেষে যেন শাহাদাতের অমৃত স্বাদ লাভ করতে পারি। শত্রুরা যেন আমার নাক-কান কেতে নেয়। পড়ে কেয়ামতের দিন আমি যখন আপনার সমীপে উপস্থিত হবো, তখন আপনি জিজ্ঞাসা করবেন, আবদুল্লাহ, তোমার নাক-কান কেন কাতা গেছে? তখন আমি উত্তর দেবো, ‘হে আল্লাহ, আপনার এবং আপনার রাসুলের রাস্তায় কাতা গেছে। তখন আপনি বলবেন, ‘হ্যাঁ, সত্যিই আমার রাস্তায় কাতা গেছে।’’ হযরত আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ (রাঃ)র প্রার্থনা শেষে হযরত সা’দ ইবন রাবী (রাঃ)  ‘আমীন’ বললেন।


পরের দিন উহুদের ঘোরতর যুদ্ধে তাঁদের প্রার্থনা অনুসারেই ঘতনা ঘটলহযরত সা’দ ইবন রাবী (রাঃ) গাজী হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে এলেনকিন্তু হযরত আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ (রাঃ) তাঁর প্রার্থনা মুতবিক শহীদ হলেন। সন্ধ্যার সময় যখন শহীদের লাশগুলো সন্ধান করা হলো,তখন দেখা গেল, যুদ্ধক্ষেত্রের কেন্দ্রভুমিতে হযরত আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ (রাঃ) শহীদ হয়ে পড়ে আছেন। তাঁর নাক-কান কাটা। তাঁর হাতে তখনও তরবারি ধরা। কিন্তু শহীদের সে তরবারির অর্ধাংশ ভাঙা।

No comments:

Post a Comment