সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে
বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“শেষকালে অনেক ধোঁকাবাজ মিথ্যাবাদীর
আবির্ভাব হবে। তারা তোমাদেরকে এমন সব কথা শোনাবে যা কোনদিন শোননি, না তোমাদের বাপ
দাদারা শুনেছে। তোমরাও তাদের থেকে বেঁচে থাকবে, তাদেরকেও বাঁচিয়ে রাখবে। তারা যেন
তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, না পারে ফেতনায় ফাঁসাতে”। (মুসলিম শরীফ)
বিখ্যাত হাদিস গবেষক মোল্লা আলী ক্বারি
(রহঃ) এই হাদিসের ব্যাখ্যায় লিখেছেনঃ ‘এই জাতীয় লোকেরা মিথ্যা কথা বলবে এবং নতুন
নতুন হুকুম জারি করবে ও নানা রকমের নষ্ট ভ্রান্ত বিশ্বাসের জন্ম দিবে’। এই শ্রেণীর
অনেক লোকেরই আবির্ভাব ঘটেছে এ যাবত। তাদেরই একজন ভণ্ড গোলাম আহমদ কাদিয়ানী। সে
হযরত ঈসা (আঃ) কে মৃত বলেছে, খতমে নবুওতকে অস্বীকার করেছে, নিজেকে নবী বলে দাবী
করেছে। তাছাড়া তার ভণ্ডামির আরও বিরাট ফিরিস্তি রয়েছে।
বিশ্ব মুসলিমের জন্য এটা অনেক বড় ফিতনা
যে, যে কোন ভ্রান্ত দল সৃষ্টি হয় সে দলের প্রতিষ্ঠাতারা তাদের ভণ্ডামিকে কুরআন
হাদিস দ্বারা প্রমাণ করার অপপ্রয়াস চালায়। যেমন আজকাল অনেকেই কমিউনিজমকে কোরআন
হাদিস দ্বারা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে, গণতন্ত্রকে চেষ্টা করছে কুরআন হাদিস দ্বারা
ইসলামআয়ন করতে।
একলোক তো এমন ভয়ঙ্কর বেফাস কথা বলেছে যা
শুনলেই আঁতকে উঠতে হয়। তাকে নাকি বলা হয়েছিল ডারউইনের বিবর্তনবাদ কুরআন পরিপন্থী। কারণ,
কুরআন তো মানুষের সূচনা হযরত আদম (আঃ) কে বলেছে। তিনি তখন বলে উঠলেন, এমনও তো হতে
পারে সর্বপ্রথম যে বানরটি মানুষে রূপান্তরিত হয়েছিল সেটাই ছিল আদম। (নাউজুবিল্লাহ)
No comments:
Post a Comment